পবিত্র সৌধের সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া পর্যটকের গায়ে জল ঢেলে দিলেন স্থানীয়রা
এ সৌধ দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। দেখেন, ছবি তোলেন। কিন্তু কেউ তাতে চড়েন না। এক পর্যটক নিয়ম ভাঙায় ধিক্কারের মুখে পড়তে হল তাঁকে।
পর্যটকেরা বিভিন্ন অচেনা জায়গায় ঘুরতে যান। সেখানকার দ্রষ্টব্য সবই ঘুরে দেখেন। পর্যটকদের হাত ধরে স্থানীয় অর্থনীতির চাকাও ঘোরে। ফলে স্থানীয়রাও পর্যটকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কেউ কোনও স্থানের সংস্কৃতি, প্রথা, বিশ্বাসে আঘাত করবেন। তেমনই একটি ঘটনা কিন্তু ঘটেছে।
মায়া সভ্যতার কথা তো সকলের জানা। সেই মায়া সভ্যতার সময় একটি পিরামিড তৈরি করেছিলেন মায়া সভ্যতার অধিবাসীরা। বিশ্বাস করা হয় যে ওই পিরামিড একটি পবিত্র সৌধ। যাতে পা রাখতে নেই। ওই পিরামিড সামনে থেকে দেখা যেতে পারে মাত্র।
কিন্তু সেই বিশ্বাসের তোয়াক্কা না করে এক মহিলা পর্যটক তরতর করে উঠে যান সৌধের সিঁড়ি বেয়ে। সৌধটির মাথায় রয়েছে একটি দরজার মত অংশ।
সেখানেও ঢুকে পড়েন ওই মহিলা। তারপর সৌধের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নেচেও নেন। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় মানুষ থেকে অন্য পর্যটকেরা কেউই।
এক সুরক্ষাকর্মী অবশেষে নামিয়ে আনেন ওই মহিলাকে। তবে নিচে অনেকটা নেমে আসার পর মানুষের ক্ষোভটা আন্দাজ করতে পারেন তিনি।
সকলেরই তখন একটাই দাবি, ওই মহিলাকে জেলে পুরতে হবে। এত মানুষ একত্র হয়ে যাওয়ায় মহিলার সুরক্ষার কথা ভেবে তাঁকে ঘিরে নিয়ে ভিড় পার করানোর চেষ্টা করেন সুরক্ষাকর্মীরা। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি।
অনেকেই মহিলার মাথায় হাতে থাকা জলের বোতল থেকে জল ঢেলে দিতে থাকেন। জল ছুঁড়তে থাকেন। এমনকি জলের বোতল ছুঁড়েও মারা হয় ওই মহিলা পর্যটককে।
ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর চিচেন ইটজা-তে। পর্যটকের এই অবিবেচনামূলক পদক্ষেপের ঘটনা ইন্ডিপেন্ডেন্ট সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বের নজর কেড়েছে।