এও এক রাবণ দহন, চেনা চেহারার অতিকায় পুতুলে আগুন দিয়ে শুরু হয় উৎসব
এও যেন রাবণ দহন। ভাবনা কিন্তু প্রায় এক। তবে এক্ষেত্রে কোনও মহাকাব্যিক চরিত্র নয়, চেনা চেহারার অতিকায় পুতুলে আগুন দিয়ে শুরু হয় উৎসব।
ভারতে ২ ধরনের দহনের সঙ্গে মানুষ বিশেষভাবে পরিচিত। একটা রাবণ দহন। যা বিজয়াদশমীর দিন হয়। সেখানে ভাবনা অশুভকে পুড়িয়ে দেওয়া।
দ্বিতীয় হল নেড়া পোড়ানো। যা দোলের আগের দিন হয়। তাতে পোড়ানো হয় খড়, কাঠ, ঘুঁটে, পুরনো নষ্ট হওয়া কাপড় সহ জঞ্জাল। এখানে ভাবনা পুরনো জীর্ণকে পুড়িয়ে উৎসবের সূত্রপাত।
এই ২টি পরম্পরাকে একসঙ্গে জুড়েই যেন তৈরি হয়েছে এই খারাপ ভাবনাকে পুড়িয়ে দেওয়ার উৎসব। যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘কেমা দেল মা উমোর’। যার অর্থ খারাপ ভাবনাকে পুড়িয়ে দেওয়া।
মেক্সিকোয় উৎসব শুরুই হয় এই বিশেষ দহন দিয়ে। যেখানে সবচেয়ে বড় চমক হল যে পুতুলে আগুন দেওয়া হয় সেই পুতুলের চেহারা।
বিশাল সে পুতুলের চেহারা হয় চেনা কোনও মানুষ। যাঁকে দেশের মানুষ ঘৃণা করেন। তিনি রাজনীতিবিদ হতে পারেন। নয়তো কোনও বিখ্যাত ব্যক্তি। যাঁকে মানুষ পছন্দ করেননা। তাঁর ছবি ওই পুতুলে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ঠিক যেমন প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে কুশপুতুল দাহ করা হয় তেমন। ওই কুশপুতুলে আগুন দিয়ে তার ধারে আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। তারপর শুরু হয় উৎসব বা কার্নিভাল। প্রসঙ্গত বছর চার আগে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের পুতুলেই আগুন দিয়েছিলেন মেক্সিকোর মানুষজন।