জন্মদিন না হোলি খেলা বোঝা দায়, এভাবেও পালিত হয় জন্মদিন
জন্মদিনটা মানুষের জীবনে একটা বিশেষ দিন। বিশেষত নব্য প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে তো বটেই। এক জায়গায় তো যাঁর জন্মদিন তাঁর প্রায় হোলি খেলা হয়ে যায়।
জন্মদিন সর্বদাই সুখের। যদিও একটা বছর বয়স বাড়ে, তবু জন্মদিনের আনন্দই আলাদা। কম বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে তো তা অবশ্যই বিশেষ দিন।
বন্ধুবান্ধব থেকে পরিবার পরিজন আত্মীয় নিয়ে একটা দিন স্বপ্নের মত কেটে যায়। বিশ্বজুড়েই তাই মানুষের জন্মদিনটা সাধারণত বেশ জমিয়েই পালিত হয়।
ঠিক তেমনই এক দেশে জন্মদিন মানে সকলে হাজির হয়ে জন্মদিন যাঁর, সেই ছেলে বা মেয়েকে কেকের সামনে এনে দাঁড় করানো। তারপর পিছমোড়া করে বেঁধে দেওয়া হয় বার্থডে বয় বা গার্লদের হাত। এটাই বহুদিন ধরে চলে আসা রীতি।
হাত বেঁধে দিয়ে এবার তাঁকে কেক খেতে বলা হয়। হাত তো বাঁধা। তাই যেই না বার্থডে বয় বা গার্ল মুখটা কেকের কাছে নামিয়ে আনেন ঠিক তখনই সকলে মিলে ধরে তাঁর মুখটা গুঁজে দেন কেকের মধ্যে। তারপর উল্লাসে চেঁচিয়ে ওঠেন তাঁরা। মোরদিদা, মোরদিদা বলে চেঁচাতে থাকেন তাঁরা।
এইভাবে জন্মদিন পালনের রীতি মেক্সিকোয় বহুদিন ধরে চলে আসছে। মেক্সিকোর কেক খুবই ক্রিমে ভরা হয়। ফলে তা খুব নরমও হয়। তাতে বার্থডে বয় বা গার্লের মুখটা পুরো ঢেকে যায়।
যেন তাঁর মুখে কেউ ওটা মাখিয়ে দিয়েছে। এরপর অবশ্য তাঁর হাত খুলে দেওয়া হয়। তারপর সকলে মিলে শুরু হয় জন্মদিনের আনন্দ উপভোগ, খাওয়াদাওয়া, হাসি মজা।