সমুদ্রের ধারে নয়, কিন্তু সমুদ্রসৈকতই, প্রকৃতি খেলা করে লুকোনো বিচে
সামনে অকুল সমুদ্র। তার ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বালুকাবেলায়। এটাই তো সমুদ্রসৈকত বা বিচ। কিন্তু এ বিচে সমুদ্রের ঢেউ আছে, বালি আছে, কিন্তু সামনে সমুদ্র নেই।
সমুদ্রসৈকত নিয়ে কাউকে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সকলেই জানেন অসীম সমুদ্রের ধারে বালুকা বেলায় আছড়ে পড়া ঢেউ এক অপরূপ অনুভূতি দেয় পর্যটকদের। কিন্তু বিচ তো সমুদ্রের ধারেই হবে। কিন্তু এমন এক বিচও এ পৃথিবীতে রয়েছে যা সমুদ্রের ধারে নয়। কিন্তু বালুকাবেলা আছে, সমুদ্রের জল আছে, ঢেউ আছে।
এখানে সমুদ্রসৈকত একদম লুকিয়ে থাকে। স্বর্গীয় এক পাহাড় ঘেরা জায়গা। এখানেই পাথুরে মাটির মাঝে বিশাল একটা গর্ত। সেই গর্ত জুড়ে একটা অংশ বালুকাবেলা আর অন্য অংশ সমুদ্রের ঢেউ।
বালির ওপর আছড়ে পড়েছে বিশাল গর্তের ফাঁক গলা সূর্যের আলো। সমুদ্র সেখান থেকে ২৪ মিটার দূরে। মেক্সিকোর এই লুকোনো বিচ কিন্তু পৃথিবীর এক অন্যতম আশ্চর্যের তালিকায় জায়গা পেতেই পারে।
এই বিচে পৌঁছতে গেলে মেক্সিকোর মারিয়েতা দ্বীপের ধারে জলে নামতে হয়। তারপর সাঁতার শুরু। সাঁতার কেটে একটি গুহার মত অংশ পার করতে হয়। যার অন্য পারে চোখ জুড়িয়ে দেওয়া স্বর্গীয় বিচ অপেক্ষায় থাকে।
প্লায়া দে আমোর নামেই সকলে চেনেন এই বিচকে। এখান থেকে ফিরতে গেলে আবার ওই গুহার জল পার করেই ফিরে যেতে হয়। অনেকে বলেন, এটা নাকি চিরদিন ছিলনা। এই লুকোনো বিচ তৈরি হয় এক বোমা বিস্ফোরণে। যা মেক্সিকো এক সময় পরীক্ষা করে দেখত। সেটা করতে গিয়েই এই অতিকায় গর্তটি তৈরি হয়।
তারপর সেই গর্তে সমুদ্র গুহা পথে এসে জল আর বালিতে ভরিয়ে দেয়। তৈরি হয় স্বর্গীয় এক বিচ। যেখানে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন। উপভোগ করেন এই লুকিয়ে থাকা বিচে সময় কাটানোর না ভোলা অনুভূতি।