রাতারাতি চাষের জমি ফুঁরে বেরিয়ে এল আগ্নেয়গিরি, হারিয়ে গেল ২টি গ্রাম
আগ্নেয়গিরি সম্বন্ধে সকলেরই একটা ধারনা আছে। কিন্তু এমন আগ্নেয়গিরিও পৃথিবীতে রয়েছে যা মাত্র ৮১ বছর আগে একটা কৃষিজমিতে রাতারাতি গজিয়ে ওঠে।
আগ্নেয়গিরি অনেক রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। তাদের বয়স খুঁজতে গেলে বহুকাল পিছনে চলে যেতে হয়। কিন্তু বিশ্বে এমন একটাই আগ্নেয়গিরি রয়েছে যা রাতারাতি মাটি ফুঁড়ে উঁকি দেয়। তাও মাত্র ৮১ বছর আগে। ক্রমে সেই জমি ফুঁড়ে আগ্নেয়গিরিটি বেরিয়ে আসতে থাকে। বাড়তেই থাকে।
যে জমিতে দিব্যি চাষাবাদ হত। সবুজে ভরে ছিল চারধার। ভুট্টার ক্ষেতে ভুট্টা ভরে থাকত। পাশের ২টি গ্রামে বহু মানুষের বসবাস ছিল। সেই স্থান ক্রমশ এক ভূতুড়ে আগ্নেয়গিরি গ্রাস করতে থাকে।
সব ফেলে পালাতে থাকেন মানুষজন। ভুট্টা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে তখন লাভা গড়াচ্ছে। উড়ছে গরম ছাই। জ্বালামুখ দিয়ে ছিটকে বার হচ্ছে পাথরের টুকরো।
শুধু তাই নয়, ক্রমে মাটি ফুঁড়ে উঁকি দেওয়া আগ্নেয়গিরি পাহাড়ের মত উঁচু হতে থাকে। মাটি থেকে ক্রমে বেরিয়ে আসতে থাকে। মাত্র ৯ বছরের মধ্যে সেটি ১ হাজার ৩০০ ফুটের একটি আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হয়। অগ্নুৎপাতও নিয়মিত হতে থাকে। ২টি গ্রাম কবেই লাভার তলায় হারিয়ে যায়।
মেক্সিকোর এই আজব আগ্নেয়গিরি নিয়ে উৎসাহ আজও গবেষকদের টেনে নিয়ে যায় সেখানে। পারিকুটিন আগ্নেয়গিরি এখন অবশ্য আর অগ্নুৎপাত করেনা। আপাতত সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে এটি।
এখন এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। অনেকে এই আগ্নেয়গিরিতে চড়াও পছন্দ করেন। ‘ভলক্যানো’ নামে সিনেমাটি এই আগ্নেয়গিরিকে সামনে রেখেই নির্মিত হয়েছিল।