World

গিনেস বুকে নাম তুলতে গিয়ে হয়নি সংসার, জোটেনি চাকরি

চাকরিতে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাতেও খেতে হয়েছে হোঁচট। তাই সরকারি খাতায় ‘শারীরিকভাবে অক্ষম’ হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন তিনি।

১৮.৯ ইঞ্চি অঙ্গ নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন মেক্সিকোর এক বাসিন্দা। রবার্তো এসকুইভেল ক্যাব্রেরা নামে ওই ব্যক্তির অঙ্গ ঝুলে পড়েছে পায়ের গোড়ালির কাছে। চলতে, ফিরতে, শুতে বেজায় অসুবিধা। প্যান্ট পড়তে গেলেও নাকানিচোবানি খেতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ সেই অঙ্গকে কাপড়ে মুড়ে রেখেই হাঁটা চলা করতে হয় রবার্তোকে। তবে এইভাবে কাঁহাতক আর জীবন কাটানো যায়?

অভিশাপ হয়ে ওঠা সেই অঙ্গের জন্য ঘর পর্যন্ত বাঁধা হয়ে ওঠেনি রবার্তোর। এমনকি চাকরিতে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাতেও খেতে হয়েছে হোঁচট। তাই সরকারি খাতায় ‘শারীরিকভাবে অক্ষম’ হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন তিনি।


সেই বাবদ কিছু অর্থসাহায্য পেয়ে আসছিলেন ৫৫ বছরের প্রৌঢ়। খালি আশা ছিল ‘বিশ্বের বৃহত্তম বিশেষ অঙ্গ’-এর দাবিদার হিসেবে গিনেস বুকে তাঁর নাম উঠবে। তবে রবার্তোর সেই আশায় সম্প্রতি জল ঢেলে দিলেন মেক্সিকোর এক চিকিৎসক।

এতদিন ধরে রবার্তোর নিজের অঙ্গ সম্পর্কে ভুল প্রচারের বিষয়টিকেও নিশ্চিত করেছেন ওই বিখ্যাত চিকিৎসক। তাঁর দাবি, সিটি স্ক্যানের জন্য রবার্তোকে নিয়ে আসা হলে তিনি তাঁর অঙ্গ থেকে প্রথমে ব্যান্ডেজ খুলতে অসম্মত হন। পরে রবার্তোর মেডিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল থেকে সত্যিটা সামনে আসে।


দেখা যায়, রবার্তোর অঙ্গের সামনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে উপত্বকের লম্বা আস্তরণ। সেই আস্তরণটুকু বাদ দিলে রবার্তোর অঙ্গের মাপ দাঁড়ায় ৬.২-৭ ইঞ্চির মধ্যে। যা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। আসলে ওই আস্তরণ রবার্তোর নিজের কেরামতিতে তৈরি।

চিকিৎসকেরা মনে করছেন সম্ভবত ভারি কোন ওজন অঙ্গের মুখে ঝুলিয়ে উপত্বকটিকে লম্বা বানান রবার্তো। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটির মধ্যেই রয়েছে কৃত্রিম কারসাজির গন্ধ।

এবার সেটাকে সামনে রেখেই রবার্তোকে একহাত নিয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গের দাবিদার জন ফ্যালকন। ১৩.৫ ইঞ্চির অঙ্গের মালিক জন কার্যত রবার্তোকে ‘ঠগ’ বলে উল্লেখ করে তাঁর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। কারসাজি করে এতদিন নিজেকে ‘বিশ্বের দীর্ঘতম বিশেষ অঙ্গ’-এর দাবিদার বলে জাহির করায় রবার্তোর উপর রীতিমত ক্ষুব্ধ তিনি।

তবে এত সব কাজিয়ার মধ্যে নামকরা সাইটে কাজ করে উপার্জন করার ডাক এসেছে রবার্তোর কাছে। এখন দেখার গিনেস বুকে নাম তোলার লোভে কার্যত কুকীর্তির কারিগর এই বয়সে কাজের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button