গত ১ মাস ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৩ বন্ধুর। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য মোটেই স্বেচ্ছায় হারিয়ে যাননি আভিয়ে সলোমন অ্যাসেভেস, জিসেস ডানিয়েল ডিয়াজ এবং মার্কো গার্দিয়া ভালোস নামে ৩ যুবক। আভিয়ের বয়স ২৫। বাকি দুজনের ২০। মেক্সিকোর গাদেল্লাহারা শহরের অডিও ভিস্যুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন তাঁরা। গত ১৯ মার্চ ফিল্ম প্রজেক্টের শ্যুটিং সেরে ফেরার পথে ৩ বন্ধু অপহৃত হয় মেক্সিকোর টোনালা এলাকা থেকে। বাড়ি ফিরে না আসায় সন্তানদের হদিশ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন নিখোঁজ ছাত্রদের পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে মেক্সিকো উথালপাথাল করে নিখোঁজ যুবকদের সন্ধানে লেগে পড়েন গোয়েন্দারা। দুষ্কৃতীদের ঘাঁটিতে নজরদারি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু এত কিছুর পর প্রায় ১ মাস কেটে গেলেও মেলেনি ৩ বন্ধুর খোঁজ। তদন্তে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে এরমধ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিখোঁজদের পরিবার। অবশেষে মেক্সিকোর জালিস্কো প্রদেশে একটি বাড়িতে চড়াও হয়ে অপহৃত যুবকদের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে মেক্সিকোর কুখ্যাত দুষ্কৃতী দল জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার নিখোঁজ যুবকদের বাড়ির লোককে ডেকে পাঠানো হয় থানায়। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় হারিয়ে যাওয়া ৩ ছেলের। জীবিত অবস্থায় নয়, ড্রামভর্তি সালফিউরিক অ্যাসিডে চুবিয়ে রাখা ছেলেদের গলিত মৃতদেহ দেখতে পান অভিভাবকরা। জেরায় ৩ যুবককে অ্যাসিডে পুড়িয়ে মারার কথা ধৃতরা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত ভুল করে বিরোধী দুষ্কৃতী দলের সদস্য ভেবে ওই যুবকদের অপহরণ করা হয়েছিল। পরে ভুল ভেঙে গেলেও প্রমাণ লোপাট করতে ওই ৩ যুবককে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে মনে করছে পুলিশ। জালিস্কোর ঘাঁটি থেকে অ্যাসিড ভর্তি ড্রামে চোবানো আরও কয়েকটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।