ডিভিডির বাক্স খুলতেই বন্ধ হয়ে গেল লাইব্রেরির সদর দরজা
একটা বাক্স খোলার সঙ্গে লাইব্রেরির দরজা বন্ধ হওয়ার সম্পর্ক কি এটা মনে হতেই পারে। অথচ সত্যিই বাক্স খুলতেই বন্ধ হয়ে গেল লাইব্রেরির দরজা।
এ লাইব্রেরি কোনও ছোটখাটো পাঠাগার নয়। বিশাল সে পাঠাগার। প্রচুর বই। বইপোকাদের স্বপ্নের জায়গা। সেখানেই একটি ডিভিডির বাক্স ফেরত এসেছিল। বাক্সের মধ্যে থাকা ডিভিডি বার করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
এমন বিপত্তি যে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে সময় নষ্ট না করে সকলকে বার করে দিয়ে লাইব্রেরি বন্ধ করে দিতে হয়। কি হয়েছিল সেদিন?
ডিভিডি ফেরত আসার পর সেটি বাক্স খুলে যেই বার করতে যাবেন লাইব্রেরি কর্মীরা তখনই তাঁরা দেখেন ডিভিডি-র বাক্স থেকে সরসর করে বেরিয়ে আসছে পোকারা।
এত পোকা দেখে শিউরে ওঠেন তাঁরা। লাইব্রেরি জুড়ে হইচই পড়ে যায়। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ সময় নষ্ট না করে সে সময় লাইব্রেরিতে আসা সকলকে বার করে লাইব্রেরি দরজা বন্ধ করে দেয় সাধারণের জন্য। যাঁরা লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসছেন তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই এমন পদক্ষেপ করে তারা।
কি পোকা তা প্রথমে পরিস্কার না হলেও পরে জানা যায় ওগুলো ছিল একধরনের আরশোলা। মিশিগানের রয়্যাল ওক পাবলিক লাইব্রেরি সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানিয়েছে।
তারা জানিয়েছে তাদের ওই পোকারা নজরে আসার পরই চারধার সাফ করার ব্যবস্থা করা হয়। পেস্ট কন্ট্রোলে খবরও দেওয়া হয়। যদিও লাইব্রেরিতে যাতে কোনও পোকা না থাকে তার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ সর্বদাই করে থাকে।
তা সত্ত্বেও বাইরে থেকে আসা ডিভিডি বাক্সে থাকা আরশোলাদের আতঙ্কে লাইব্রেরির দরজা পর্যন্ত একটা বড় সময় বন্ধ রইল। পরে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফের লাইব্রেরির দরজা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।