তরুণীকে দোকানে ঢুকতে বাধা, সুরক্ষাকর্মীকে হত্যা করল পরিবার
মাস্ক পরেই দোকানে ঢুকতে হবে। এমনই নির্দেশ রয়েছে। তাই মাস্ক না থাকায় এক তরুণীকে ঢুকতে বাধা দেন সুরক্ষাকর্মী। সেই কর্তব্য পালন তাঁর মৃত্যু কারণ হল।
সরকার যেখানে নির্দেশ দিয়েছে মাস্ক ছাড়া বাইরে ঘোরা যাবেনা। সেখানে তা অমান্য করে একটি দোকানে ঢোকার চেষ্টা করে এক তরুণী। তরুণী একা আসেনি। তার বাবা, মা ও ভাই সঙ্গে ছিল। মাস্ক না থাকায় এবং সরকার মাস্ক পরেই দোকানে ঢুকতে হবে বলে নির্দেশ জারি করায় তরুণীকে গেটেই আটকে দেন সুরক্ষাকর্মী। জানিয়ে দেন তাকে দোকানে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা। মেয়েকে এভাবে আটকানোয় তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে তরুণীর সঙ্গে আসা তার পরিবার।
তরুণীর বাবা ও ভাই মিলে মারধর করে ওই সুরক্ষাকর্মীকে। অভিযোগ ওই তরুণীর মা গুলি চালায় ওই সুরক্ষাকর্মীর মাথার পিছনে। মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর তরুণীর মা বছর ৪৫-এর শার্মেল টিগ, বাবা বছর ৪৪-এর ল্যারি টিগ ও ভাই বছর ২৩-এর রামোয়া বিশপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪৩ বছর বয়স্ক ওই সুরক্ষাকর্মীকে এভাবে হত্যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি চার্জ গঠন করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য মিশিগানের ফ্লিন্ট শহরে। মিশিগান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা বিধ্বস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। যেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা এখনও বাড়ছে। যদিও কিছুদিন আগে লকডাউন শেষে করে তাঁদের বাড়ি থেকে বার হতে দিতে হবে বলে দাবি জানিয়ে রাস্তায় নামেন মিশিগানের একাংশের মানুষ। তাঁদের দাবির মর্যাদা রেখে মিশিগানে লকডাউন শিথিলও করা হয়। মিশিগান প্রশাসন জানিয়েছিল মানুষ বার হলেও দোকান বা রাস্তায় মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা