লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন গ্রেফতার সাংবাদিক
লাইভ সম্প্রচার চলছিল চ্যানেলে। সাংবাদিকও লাইভে ছিলেন। সেই অবস্থায় সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ওয়াশিংটন : চারদিকে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে আকাশে। রাস্তায় প্রচুর পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা আশপাশে থাকলেও ঠিক সেই সময় তাঁদের দেখা যাচ্ছেনা। এমনই এক পরিস্থিতিতে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে পুরো পরিস্থিতি সকলের সামনে তুলে ধরছিলেন সাংবাদিক ওমর হিমেনেজ ও চিত্রগ্রাহক সহকর্মী। সিএনএন চ্যানেলের জন্য কাজ করছিলেন তাঁরা। তখন লাইভ চলাকালীনই দেখা যায় সাংবাদিকের পাশে এসে দাঁড়ান ২ পুলিশকর্মী। হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মাইক্রোফোন। তারপর তাঁর হাত পিছমোড়া করে তাতে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয়।
ওই সাংবাদিক নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে থাকেন। জিজ্ঞেস করতে থাকেন কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মুখে মাস্ক পরিহিত ওই সাংবাদিকের কোনও কথাই শোনেননি পুলিশকর্মীরা। তাঁকে তো নিয়ে যাওয়াই হয়। পরে ২ চিত্রগ্রাহককেও গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের একজনের পিঠ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় লাইভ সম্প্রচারের জন্য থাকা ব্যাকপ্যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস-এ এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা শহর।
আফ্রিকান-আমেরিকান ৪৬ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তাল মিনিয়াপোলিস শহরের অবস্থাই তুলে ধরছিলেন ওই সাংবাদিক। চ্যানেলে পুরো বিষয়টিই লাইভে উঠে আসে। পরে অবশ্য ৩ জনকেই কোনও অভিযোগ দায়ের না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে মার্কিন মুলুকে এমন ঘটনার পর সেখানে সাংবাদিক মহলে সংবাদ সংগ্রহের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা