এ গুহা সারাবছর থাকেনা, কয়েক মাসের জন্য তৈরি হয়
গুহা বললেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে পাথরের অপরিসর গর্ত। যা বছরের পর বছর ধরে থাকে। কয়েক মাসের জন্য হয় এমন গুহার কথা শুনেছেন কেউ?
অন্ধকারাচ্ছন্ন পাথুরে ফাঁক। প্রকৃতিই পাথরের মধ্যে যেমন খুশি করে একটা ফাঁক তৈরি করেছে। সে ফাঁক অনেক ভিতর পর্যন্ত যেতে পারে। আবার নাও যেতে পারে। আদিম কালে মানুষের ঝড়, জল, বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশ্রয় ছিল এই সব গুহাই।
ফলে আদিম মানুষের নানা চিহ্ন বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা গুহায় দেখতে পাওয়া যায়। গুহা মানেই এক এমন কিছু যা কবে তৈরি হয়েছিল তা বোঝা দায়!
কিন্তু এ পৃথিবীতে প্রকৃতির সৃষ্টি এমন গুহাও রয়েছে যা প্রতিবছর সৃষ্টি হয়। আবার নষ্টও হয়ে যায়। ফের পরের বছর তৈরি হয়। এই বাৎসরিক গুহা নির্মাণ কিন্তু চলতেই থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেহাহা খাঁড়ি যেখানে মিসিসিপি নদীতে মিশেছে তার খুব কাছেই তৈরি হয়েছে একটি জলপ্রপাত। ৫৩ ফুটের এই জলপ্রপাত ছড়িয়ে রয়েছে অনেকটা অংশ জুড়ে। সেখান দিয়ে সারাক্ষণ জল পড়েই চলেছে।
যেখানে জল পড়ছে তার পিছনে রয়েছে পাহাড়ের পাথুরে দেওয়াল। এই পাথুরে দেওয়াল আর জলপ্রপাতের মাঝে রয়েছে একটি ফাঁকা অংশ। যেখান দিয়ে দিব্যি হেঁটে বেড়ানো যায়।
এই ফাঁকটা একটি গুহাই। যার একটা ধারের দেওয়াল তৈরি হয়েছে জল দিয়ে। কিন্তু জলের দেওয়াল হলে তো গুহা হবেনা। তাই অপেক্ষা।
এখানে শীতকালে এতটাই ঠান্ডা পড়ে যে ওই জলপ্রপাতের জল কঠিন বরফে পরিণত হয়। তখন জলের দেওয়াল কঠিন বরফের দেওয়ালে পরিণত হয়।
সেই সময় একদিক শক্ত বরফের প্রাচীর আর বাকি দিক পাথুরে হয়ে এক গুহা তৈরি করে প্রকৃতি। নাম মিনেহাহা জলপ্রপাত গুহা। এটি কেবল শীতের সময়টাই স্থায়ী হয়।
বসন্ত এলে গরম বাড়ে। ক্রমে জলপ্রপাতের জল গলে ফের পুরনো জলপ্রপাতে পরিণত হয়। গুহাও যায় হারিয়ে। ফের শীতের অপেক্ষা। এমন অস্থায়ী গুহার কথা কিন্তু বড় একটা শোনা যায়না।