মিলনের আশায় তিনি প্রবেশ করলে রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজ এভাবেই লাটে ওঠে
তিনি দৈহিক সম্পর্ক চাইছিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেজন্য উত্তেজনায় ঢুকে পড়েছিলেন একটি রেস্তোরাঁয়। তাতেই মধ্যাহ্নভোজ লাটে উঠল গ্রাহকদের।
মধ্যাহ্নভোজের সময় এ রেস্তোরাঁয় যথেষ্ট ভিড় থাকে। গ্রাহকদের ভিড় তখন তাই যথেষ্ট। বাফের সুবিধা যেমন আছে, তেমন বসে খাওয়ার সুবিধাও রয়েছে। গ্রাহকদের চাপ থাকায় রেস্তোরাঁর কর্মীদেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে। আর ঠিক সেই সময় একটি জানালা দিয়ে তিনি প্রবেশ করলেন রেস্তোরাঁয়।
প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটতেই শুরু হল হুড়োহুড়ি। এদিকে সেই চতুষ্পদ তখন যেখান দিয়ে ফাঁকা পাচ্ছে সেখান দিয়েই ছুটে এগোচ্ছে। এলোপাথাড়ি এদিক ওদিক করছে।
তাকে দেখে গ্রাহকরা পালাবার পথ খুঁজছেন। সকলেই আতঙ্কিত। এই বুঝি গুঁতিয়ে দিল! রেস্তোরাঁর কর্মীরা কয়েকজন আবার একটু সাহস করে তাকে তাড়া করারও চেষ্টা করলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি-র একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানে একটি হরিণ ঢুকে পড়ে জানালা দিয়ে। তারপর হরিণটি রেস্তোরাঁর মধ্যেই যেদিকে পারে ছুটতে থাকে।
এমন করে ছোটাছুটি করে সে আবার একটি জানালা দিয়েই লাফ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ততক্ষণে অবশ্য রেস্তোরাঁয় খাওয়া সকলের লাটে উঠেছে। গ্রাহক থেকে রেস্তোরাঁ কর্মী কেউই তখনও তাঁদের আতঙ্কিত ভাব কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা এমন একটা সময় যে সময় হরিণদের মিলনের। এই সময় তাই তারা একটু উত্তেজিত, চঞ্চল হয়ে থাকে। অনেক সময় তাই এমনও কাণ্ড করে যা তাদের কাছ থেকে অভিপ্রেত নয়।
হয়তো এই হরিণটির ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকতে পারে। রেস্তোরাঁয় খাবার সাজানো থাকলেও কোনও খাবার কিন্তু খাওয়ার কোনও চেষ্টাই ওই হরিণটি করেনি। হরিণের থেকে কারও কোনও ক্ষতিও হয়নি। তবে খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।