ফের চিনা অ্যাপের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাল ভারত
লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পর ধাপে ধাপে বহু চিনা অ্যাপ এ দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে। একবার ফের চিনা অ্যাপের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করল ভারত।
নয়াদিল্লি : লাদাখের গালওয়ানে চিনা সেনার আগ্রাসী মানসিকতা প্রকাশ ও ভারতীয় জওয়ানদের বিনা প্ররোচনায় হত্যার প্রতিবাদ করে এ দেশে চিনা অ্যাপের রমরমায় রাশ টেনে দিয়েছে ভারত সরকার। চিনের একগুচ্ছ অতিপরিচিত অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে এ দেশে। এবার সেই তালিকায় আরও ১১৮টি চিনা অ্যাপ যুক্ত হল। যে তালিকায় পিইউবিজি বা চলতি ভাষায় পাবজি-র মত জনপ্রিয় গেম অ্যাপও রয়েছে। এটাকে চিনা অ্যাপের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হিসাবেই দেখছেন অনেকে।
গালওয়ানের পর বেশ কিছু অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ হয়। যে তালিকায় টিকটক-এর মত অ্যাপও ছিল। তারপর সীমান্ত সমস্যা মেটাতে চিনের সঙ্গে সেনা আধিকারিক স্তরে বৈঠক শুরু হয়। কিন্তু সেই বৈঠক চলাকালীনই ফের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে চিনের লাল ফৌজ। যা ভারতীয় সেনা রুখে দেয়। এমনকি সেখানে চিনা সেনাকে প্রতিহত করার পাশাপাশি উল্টে ভারত নিজের জায়গা আরও শক্ত করে ফেলে।
প্যাংগং-এর ঘটনার পরই ফের চিনা অ্যাপের ওপর পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাল ভারত। ভারত সরকার এটা চিনের কাছে পরিস্কার করে দিল যে যতবার তারা ভারতের মাটি দখলের বা সেখানে পা পর্যন্ত রাখার দুঃসাহস দেখাবে, ততবার এভাবেই চিনের ব্যবসার ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হানবে ভারত। যা চিনের জন্য অবশ্যই সুখের হবে না। কারণ ভারতের মত বড় বাজার তাদের ক্রমশ হাতছাড়া হতে থাকবে।
দেশের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের মানুষের সুরক্ষার খাতিরেই পাবজি সহ ১১৮টি অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাতে ভারতবাসীর তথ্য সুরক্ষিত থাকে। ভারতের ইন্টারনেট দুনিয়াকে সুরক্ষিত রাখতে এই সিদ্ধান্ত। অন্য অ্যাপ তো রয়েছেই, পাবজি এমন এক গেমিং অ্যাপ যা ভারতের বহু মানুষের পছন্দের। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে পাবজি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে টিকটক নিষিদ্ধ করার সময়ই কেন পাবজি-কেও নিষিদ্ধ করা হয়নি? আসলে পাবজি পুরোপুরি চিনা অ্যাপ নয়। এটি প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু পাবজি-র জনপ্রিয়তা দেখে চিনের একটি সংস্থা তাদের সঙ্গে হাত মেলায়। চিনা সংস্থার উপস্থিতি থাকায় অ্যাপটি নিষিদ্ধ হল ভারতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা