SciTech

আমজনতার মাথায় হাত, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ল মোবাইলের খরচ

পেঁয়াজ থেকে কাঁচা আনাজ, মাছ-মাংস থেকে ডিম। অথবা রান্নার গ্যাস। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সবকিছুরই দাম এক এক ধাক্কায় বাড়ে আর মাথায় হাত পড়ে আমজনতার। সবকিছুর দাম বাড়া নিয়ে প্রবল অসন্তোষের মধ্যেও প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় মোবাইলের খরচ নিয়ে তাঁদের কারও কোনও ক্ষোভ ছিলনা। ওই একটি জিনিস মোটামুটি নাগালের মধ্যেই ছিল। এবার সে গুড়েও বালি দিয়ে এক ধাক্কায় মোবাইলের খরচ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিল ভোডাফোন-আইডিয়া, এয়ারটেল ও জিও। ভারতের এই ৩ মোবাইল সংযোগ প্রদানকারী সংস্থাই তাদের ফোন কল ও ডেটার খরচ এক ধাক্কায় চমকে দেওয়ার মত বাড়িয়ে দিয়েছে। যা দেখে কার্যত ফের মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের।

ভোডাফোন-আইডিয়া তাদের নয়া বর্ধিত রেট চালু করছে আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে। ফাস্ট রিচার্জ প্যাক চালু করেছে তারা। যেখানে ৯৭ টাকায় মিলবে ৪৫ টাকার টকটাইম। ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি। ১০০ এমবি ডেটা মিলবে। সঙ্গে ১ পয়সা প্রতি সেকেন্ডে কলের সুবিধা। তবে এটা প্রথম ৪ বার মিলবে। এছাড়া ১৯৭, ২৯৭ ও ৬৪৭ টাকার প্ল্যান আনা হচ্ছে। এগুলো ২৮ বা ৮৪ দিনের ভ্যালিডিটি নিয়ে তৈরি হচ্ছে। এগুলো আনলিমিটেড প্যাক হবে। এছাড়া ৪৯ টাকা ৭৯ টাকার প্ল্যান রয়েছে।


এয়ারটেলও একইভাবে তাদের বর্ধিত হার ৩ ডিসেম্বর থেকে চালু করছে। তাদের ১২৯ টাকার ২৮ দিনের প্ল্যান বেড়ে হচ্ছে ১৪৮ টাকা। আবার তাদের ৯৯৮ টাকার এক বছরের প্ল্যানের হার বেড়ে হচ্ছে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা। সরাসরি ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। এছাড়া এয়ারটেলের ১৬৯৯ টাকার প্ল্যানটি বেড়ে হচ্ছে ২ হাজার ৩৯৮ টাকা। এক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে ৪১ শতাংশ টাকা। ২৪৯ টাকার প্ল্যানটিতে এবার গুনতে হবে ২৯৮ টাকা। ৪৪৮ টাকার প্ল্যানটি হয়ে যাচ্ছে ৫৯৮ টাকা। ৪৯৯টা হয়ে যাচ্ছে ৬৯৮ টাকার প্ল্যান।

তাল মিলিয়ে বাড়ছে জিও-র খরচ। জিও-র নয়া বর্ধিত হার লাগু হচ্ছে ৬ ডিসেম্বর থেকে। জিও চালু অল-ইন-ওয়ান প্ল্যানে ৪০ শতাংশ টাকা বাড়াচ্ছে। তবে সংস্থা জানাচ্ছে তারা তাদের লক্ষ্য ‘গ্রাহক প্রথম’ নীতিকে যতটা সম্ভব ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে খরচ কিন্তু বাড়ছে। আর তা রীতিমত ধাক্কা মধ্যবিত্তের জন্য। কারণ মোবাইল ছাড়া গতি নেই। আর সেই মোবাইলের খরচ এতটা বেড়ে যাওয়া তাঁদের বাজেটে ধাক্কা দেবে। তবে এও ঠিক যে এখন মানুষ এই খরচ বাড়ার বিষয়টির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন। কষ্ট হচ্ছে। টাকা জমানোর সুযোগ কমছে। তবু জীবন এগোচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button