তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যা কিছু চর্চা চলছে, সবটাই মিথ্যা। তাঁকে বদনাম করার জন্য, তাঁর খেলার ক্ষতির জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অবশেষে স্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মহম্মদ সামি। এখন ধরমশালায় দেওধর ট্রফির ম্যাচ খেলছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই ফাস্ট বোলার। সামনেই আইপিএলের মহারণ শুরু হতে চলেছে। তার আগেই সামির বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন স্ত্রী হাসিন জাহান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু মহিলার ছবি ও ফোন নম্বর পোস্ট করেন তিনি। সেইসব ছবির সাথে জুড়ে দেন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারের অনেকগুলি স্ক্রিনশট। সেইসব ছবিতে দেশি-বিদেশি তরুণীদের সঙ্গে সামির কথোপকথনে চাঞ্চল্য পড়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটমহলে।
গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আচমকাই একের পর এক বোমা ফাটাতে থাকেন হাসিন জাহান। তাঁর সমস্ত অভিযোগ ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের স্পিডস্টার তথা তাঁর স্বামী মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে ভালবেসে সামিকে বিয়ে করেন হাসিন জাহান। তাঁদের ৩ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সামির স্ত্রীর দাবি, বিয়ের পরেই স্বামীর আচরণে সন্দেহ হয় তাঁর। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের দেওয়া ফোন থেকে একাধিক মহিলার সঙ্গে সামির অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তিনি। এই নিয়ে স্বামীর সাথে আলোচনাও করেন তিনি। অভিযোগ, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেখানেও একাধিক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সামি। এই নিয়ে মুখ খুললে সামি স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। হাসিন জাহানের আরও অভিযোগ, ছেলের কুকীর্তি ঢাকতে সামিকে মদত দিত তাঁর পরিবার। এরপরেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে হাসিনের। স্বামীর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার আগে স্বামীর ‘অপকীর্তি’র কথা দুনিয়াকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যাদবপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসিন জাহান। তবে স্ত্রীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৯ বছরের পেস বোলার।