আরও বিপাকে ভারতীয় পেস বোলার মহম্মদ সামি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান। সামি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, ধর্ষণে সাহায্য, বধূ নির্যাতন সহ একগুচ্ছ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সামির দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসিন জাহান। সূত্রের খবর, তাঁর অভিযোগের মামলা যাদবপুর থানার হাত থেকে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ওমেনস গ্রিভেন্স সেলের হাতে চলে গিয়েছে। তাঁরাই এবার বিষয়টির তদন্তভার সামলাবেন।
শেষ কয়েকদিনে সামির বিরুদ্ধে একর পর এক অভিযোগ সামনে এনেছেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান। তাঁর অভিযোগ, সামির সঙ্গে পাকিস্তানের এক মহিলা সহ একাধিক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন হাসিন। তাঁর দাবি, গত ২ বছর ধরেই সামি তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি তাঁকে সামির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচারও করা হয়। সেই অত্যাচারে সামিল হয়েছিলেন সামির পরিবারের লোকজন। হাসিন জাহানের দাবি, সামির বাড়িতে একদিন সামি তাঁকে জানান তাঁর দাদা হাসিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চান। তারপর তাঁকে দাদার ঘরে ঠেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন সামিই। সেখানে দাদার অভব্যতার শিকার হন তিনি। তাঁর প্রবল চিৎকারে অবশেষে দরজা খুলে দেন সামি। তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ করেছেন সামির স্ত্রী। এদিন সামির সঙ্গে তাঁর একটি ফোনে কথোপকথনের অডিও শোনান হাসিন জাহান।
ইতিমধ্যেই মহম্মদ সামি সহ তাঁর মা, দাদা, বৌদি ও বোনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন সামি। বরং তাঁর স্ত্রীর মানসিক ভারসাম্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, তাঁর পরিবার হাসিন জাহানকে ভালবাসে। একসঙ্গে থাকতে চায়। তিনি নিজেও তাই চান। কিন্তু কোনও কারণে হাসিনই চাইছেন না। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন সামি। সামির পাল্টা দাবি, হাসিন যা দাবি করছেন তার যেন সঠিক তদন্ত হয়।