আইলিগে সব ম্যাচে দুরন্ত খেলেও আসল ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেনি সবুজমেরুনের স্বপ্নের টিম। শেষ মুহুর্তের গোলে হেরে মোহনবাগানের হাতের তলা দিয়ে কাপ ছিনিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিল আইজল। সেই ঘা শুকোনোর আগেই সেই এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে। ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ধারে ভারে অনেকটাই এগিয়ে থাকা সবুজমেরুন কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে কিন্তু সেই আগুন ঝরাতে পারল না। বরং শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল সুনীল ছেত্রীহীন বেঙ্গালুরু। ফলে সুযোগ এলেও বেঙ্গালুরুর গোলমুখ খুলতে পারেননি সনি নর্ডি, কাতসুমিরা। প্রথম ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়। তখন আলোচনা চলছিল টাইব্রেকারে গেলে অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগানের কথা। কারণ মোহন গোলকিপার দেবজিৎ পেনাল্টি রুখতে সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বেঙ্গালুরুর মাথায় তখন অন্য কিছু চলছিল। এক্সট্রা টাইমের খেলায় ১০৭ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে বেঙ্গালুরুকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ভিনিত। তখনও বাকি ১৩ মিনিটের খেলা।
মোহনবাগান আচমকা সবসুদ্ধ উঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেঙ্গালুরুর গোলে। করারও কিছু ছিলনা। ফাইনাল বলে কথা। এই ১৩ মিনিট অলআউট খেলা দরকার তখন। তাতে অবশ্য মোহনবাগানের বিশেষ সুবিধে হয়নি। বরং মোহনবাগানের উপরে উঠে খেলার চেষ্টায় ফাঁক বুঝে ফের ভিনিত পরাস্ত করেন দেবজিতকে। ১১৯ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে কার্যত দলের ফেড কাপ জেতা পাকা করে দেন তিনি। অবশেষ ২-০ গোলে হেরে ফেড কাপও হাতছাড়া করল মোহনবাগান। সবুজমেরুনের কাছে এখন সান্ত্বনা একটাই, আইলিগ, ফেড কাপ গেছে ঠিকই, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে এই ২ প্রতিযোগিতাতেই হারিয়েছে তারা। সেই ডার্বি জেতার স্মৃতি বুকে করেই এই মরসুমের খেলা শেষ করল পালতোলা নৌকো।