আইলিগে টক্করে টক্করে লড়াই নেই। একাই বিশাল এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। শনিবার চার্চিল ব্রাদার্সকে হারিয়ে আপাতত ১১ পয়েন্টে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে সবুজ মেরুন। পয়েন্ট টেবিলে এতটা এগিয়ে থাকায় মোহনবাগানের আইলিগ প্রায় নিশ্চিত বলেই দেখছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা। টানা ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে মোহন শিবির। সহজ কথায় যেখানে আইলিগে এবার ইস্টবেঙ্গল বিশেষ কিছু করে উঠতে পারছেনা, সেখানে সবুজ মেরুনের পাল তোলা নৌকা তরতর করে বইছে কলকাতায় ভারত সেরার ট্রফি ঢোকানোর জন্য।
শনিবার চার্চিলকে প্রায় দাঁড়াতেই দেয়নি ভিকুনার মোহনবাগান। তাও আবার গোয়ায় চার্চিলের চেনা মাঠে। যাও বা কলকাতায় খেলতে এসে ৪-২-তে মোহনবাগানের কাছে হেরেছিল চার্চিল। গোয়ায় তাদের মাঠে ফিরতি ম্যাচে আরও জঘন্য হার এদিন হারল তারা। মোহনবাগান এদিন খেলা শুরু ৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায়। গোল করেন পাপা দিওয়ারা। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর কিছুটা পরেই খেলার ৫০ মিনিটের মাথায় সুধীর ভাদাক্কেপীডিকা বক্সে বল পেয়ে তা জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এর ঠিক ৮ মিনিট পরই আসে তৃতীয় গোলটি। কোমরন তুর্সুনভ-এর জোড়াল শট সোজা ঢুকে যায় চার্চিলের গোলে।
বিশাল ব্যবধান পেয়ে যায় মোহনবাগান। ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকা মোহনবাগানকে পাল্টা চাপে ফেলে এই খেলার ফিরে আসা চার্চিলের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিল। তারা তা পারেওনি। বরং মোহনবাগানের এদিন আরও ৩-৪টে গোল হতেই পারত। সেগুলো সুযোগ নষ্ট করে হাতছাড়া হয়। এদিন কার্যত চার্চিলের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিল। কিন্তু তারা তা পেরে ওঠেনি। এই জয়ের পর মোহনবাগান আইলিগের টেবিলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে এল। পঞ্জাবও মোহনবাগানের মত ১৩টি ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বর স্থানে ২১ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে।