কলকাতার রং আজ সবুজ মেরুন
কলকাতার আকাশে আজ সবুজ মেরুন হুংকার। জমিয়ে সেলিব্রেশন। বাইপাসের ধার থেকে আইলিগ জয়ের ট্রফি নিয়ে কলকাতার রাস্তায় জমিয়ে উৎসবে মাতলেন মোহন সমর্থকেরা।
কলকাতা : ৪ ম্যাচ বাকি থাকতেই আইলিগ জিতে নেয় মোহনবাগান। সেটা ঠিক করোনার দাপট শুরু হওয়ার মুখের ঘটনা। তখন করোনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে।
মার্চ মাসের সেই সময়টায় দেশজুড়ে একটা আতঙ্ক ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছিল। ফলে সে সময় দাপটে আইলিগ জিতলেও আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে পারেননি মোহন সমর্থকেরা।
ট্রফিও হাতে ওঠেনি মোহনবাগানের। অবশেষে সেই ট্রফি রবিবার হাতে পেল মোহনবাগান। ভারতসেরা হওয়ার আনন্দটা দেরিতে হলেও কোনও অংশে ম্লান হল না এদিন।
বাইপাসের ধারের একটি হোটেলে একটি ঝলমলে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আইলিগ ট্রফি হাতে ওঠে মোহনবাগান সভাপতি টুটু বসুর।
উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সিইও সুনন্দ ধর। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আর ছিলেন কর্মকর্তারা ও কিছু খেলোয়াড়। ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন মোহনবাগানের আইলিগ জয়ের কারিগর কোচ কিবু ভিকুনা।
ঝলমলে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যখন মোহনবাগানের হাতে আইলিগ ট্রফি উঠছে তখন হোটেলের বাইরে বাইপাস জুড়ে মোহনবাগান সমর্থকদের ভিড়।
চারিদিক সবুজ মেরুনে ঢাকা পড়েছে। চলছে মোহনবাগানের গান। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ধ্বনিত উল্লাস। আনন্দ তখন বাঁধ ভাঙছে। এরমধ্যেই হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ হয়। ট্রফি হাতে বেরিয়ে আসেন মোহনবাগান কর্তা সৃঞ্জয় বসু।
ট্রফি রাখা হয় মোহনবাগানের সাজে সেজে ওঠা গাড়িতে। তারপর শুরু হয় বাইপাস ধরে এগিয়ে চলা। আনন্দে মেতে ওঠা।
হাজার হাজার মোহনবাগান সমর্থক এদিন হাজির হয়েছিলেন তাঁদের প্রিয় দলের ভারতসেরা হওয়ার ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে। রাস্তা ধরে এগোল গাড়ি। সঙ্গে প্রচুর মোহন সমর্থকে রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ হল।
কেউ ওড়াচ্ছেন পতাকা, কেউ ফুল ছড়াচ্ছেন। বারে বারে গর্জে উঠছে আনন্দ উৎসব। মোহনবাগানের জয়গানে মুখর তখন গোটা রাস্তা।
এভাবে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা ঘুরে শোভাযাত্রার গন্তব্য ছিল মোহনবাগান তাঁবু। এমন একটা দিনের জন্যই সেই আইলিগ জয়ের পর থেকে অধির অপেক্ষায় ছিলেন সবুজ মেরুন সমর্থকেরা। অবশেষে সেই দিন এল। ফের একবার ভারতসেরার ট্রফি উঠল মোহনবাগানের হাতে।