দেশের ৮০ শতাংশই হারিয়ে গেছে পুরু বরফের তলায়, অন্য চিন্তা বাড়ছে
একটা দেশের ৮০ শতাংশই পুরু বরফের চাদরের তলায় হারিয়ে গেছে। কোথায় জমি দেখা যাচ্ছে খুঁজে পাওয়া দায়। গতবছরের অভিজ্ঞতা অন্য চিন্তা বাড়াচ্ছে।
![Mongolia](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2025/02/mongolia.jpg)
গতবছর এ রূপ দেখে ফেলেছেন এ দেশের মানুষ। ১৯৭৫ সালের পর গতবছরই প্রথম এত ভয়ংকর তুষারপাত দেখেছিলেন সকলে। দেশের ৯০ শতাংশ ১০০ সেন্টিমিটার বরফের পুরু চাদরের তলায় হারিয়ে গিয়েছিল। যার ফল হয়েছিল মারাত্মক।
মানুষজন ভালই জানেন কীভাবে এই তুষারপাতের সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়। তাই সেখানকার মানুষের বড় ক্ষতি না হলেও বাকি জীবজগতের প্রবল ক্ষতি হয়। লক্ষাধিক গৃহপালিত প্রাণির প্রাণ যায়।
এবছরও মঙ্গোলিয়া জুড়ে শুধু বরফ আর বরফ। এবার এখনও মঙ্গোলিয়ার ৮০ শতাংশ বরফের তলায় হারিয়ে গেছে। ফলে গতবারের স্মৃতি মাথায় রেখে চিন্তার ভাঁজ পুরু হচ্ছে মঙ্গোলিয়াবাসীর।
এবারও কি তাহলে গৃহপালিত পশুদের প্রাণ যাবে? তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে চিন্তাটা বাড়ছে। কারণ এখন ৮০ শতাংশ দেশ ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বরফে ঢাকা পড়ে গেছে।
মঙ্গোলিয়ার বাসিন্দারা জুড বলে একটি শব্দ ব্যবহার করেন। সেখানকার ভাষায় এর অর্থ হল অস্বাভাবিক ঠান্ডায় প্রচুর গবাদি পশুর জীবনহানির ঘটনা। যা সেখানে শীতের দিনে কমবেশি দেখা যায়। তবে গতবছর তা মাত্রা ছাড়া হয়ে গিয়েছিল।
কারণ ঠান্ডাও তার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। এবারও দেশের ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যেই বরফের চাদরের তলায়। তাই এবারও একই চিন্তা মঙ্গোলিয়াবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
শীতের দিনে মঙ্গোলিয়ার তুষার ঢাকা পরিস্থিতির বড় কারণ সাইবেরিয়ার উচ্চচাপ ক্ষেত্রের প্রভাব। যা স্বাভাবিক জনজীবনকে কার্যত স্তব্ধ করে দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা