বাঁদর ধাঁধা গাছের ছাল যেন হাতির চামড়া, পুরো গাছেই ভরা থাকে পাতা
গাছের নাম বাঁদর ধাঁধা। বেশ অদ্ভুত সন্দেহ নেই। এ গাছটির পুরোটাই অবিশ্বাস্য সব চরিত্রে ভরা। এমনকি তার জীবনকালও মানুষের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে।
এ এক আজব গাছ। এ গাছের যে ছাল রয়েছে তা অন্য গাছের মত বাদামি বা খয়েরি হয়না। বরং হয় ধূসর রংয়ের। হাতির চামড়া যেমন হয় ঠিক তেমন। হাতির চামড়ায় অনেক ভাঁজ থাকে। এ গাছের ছালেও তেমনটা থাকে। তবে ছাল দেখাটাও বেশ দুষ্কর কাজ। কারণ এ গাছের পাতা পুড়ো গাছ জুড়েই বিরাজ করে।
এমন নয় যে আর পাঁচটা গাছের মত গাছের কাণ্ড উঠে যাবে উপরে। তা থেকে ডালপালা ছড়িয়ে পড়বে। সেসব ডালপালায় ভরে থাকবে সবুজ পাতা।
বরং এ গাছের ডালপালা আলাদা করে বোঝা যায়না। একদম কাণ্ড থেকেই ভরে থাকে পাতা। সারা গা জুড়ে পাতা বার হয় এ গাছে। পাতাগুলো আবার ছড়িয়ে পড়েনা। সারা গা জুড়ে লেপ্টে থাকে।
দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে এই গাছ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আন্দিজ পর্বতমালার আগ্নেয়শিলার ঢালে এই গাছ হয়। চিলি থেকে আর্জেন্টিনা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় এই বাঁদর ধাঁধা গাছ বা মাঙ্কি পাজল ট্রি-র দেখা মেলে।
তবে এই গাছকে বিপন্ন প্রজাতির গাছের তালিকায় রাখা হয়েছে। এই গাছটির আরও এক চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হল এর আয়ুষ্কাল। এই গাছগুলি মাত্র ১৪-১৫ বছর বাঁচে।
সাধারণ বড় গাছের আয়ুষ্কাল এত কম হয়না। সাধারণভাবে গাছ তার চেয়ে অনেক বেশি সময় বাঁচে। কিন্তু এ গাছের এই ছোট্ট আয়ুও কম অবাক করে না।