সার্কাস থেকে পালিয়ে শহরের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ালো গজরাজ
সার্কাসে বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের সঙ্গে সেও ছিল। কিন্তু কোনওভাবে সে পালাতে সক্ষম হয়। তারপর দাপিয়ে ছুটে বেড়ায় শহরের রাজপথে। গজরাজের দাপাদাপি দেখে পালান মানুষজন।
অনেকেই তাকে দেখে পালালেন। যদি কোনওভাবে তার পায়ের তলায় এসে পড়েন তাহলে যে রক্ষে নেই তা বিলক্ষণ জানা। তাই কেউই তার ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস করেননি। ব্যস্ত শহরের রাস্তায় গজরাজ ছুটছে। এটা দেখে অনেকেই আঁতকে ওঠেন।
এদিকে ভিয়োলা নামে সেই হাতি রাস্তার ওপর দিয়ে যেদিকে প্রাণ চায় ছুটতে থাকে। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। বহু গাড়ি থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তায় হাতি দেখে।
এমন দৃশ্য যে কাজে বেরিয়ে দেখতে হবে, তাও আবার এমন এক ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে ভরা শহরে, তা তাঁরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
সার্কাসে খেলা দেখানো ভিয়েলো সার্কাসের কর্মী ও তার মাহুতের নজর এড়িয়ে পালায়। সার্কাসটি ভ্রমমাণ সার্কাস হিসাবে প্রসিদ্ধ। তার নজরদারি এড়িয়ে হাতিটি পালাল কীভাবে তা নিয়ে ভাবার আগে অবশ্য সকলেই উঠেপড়ে লাগেন আগে হাতিটিকে পাকড়াও করতে।
হাতিটি যাঁর দেখভালেই থাকত, সার্কাসের সেই ব্যক্তি হাতির পিছনে ছুটে অবশেষে একটা সময়ে তাকে কাবু করেন। তারপর ফিরিয়ে আনেন সার্কাসের ঘেরাটোপে।
তার আগে অবশ্য আমেরিকার মন্টানার বাট শহরে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল ভিয়েলো। তার ধাক্কায় অল্পবিস্তর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনও মানুষের কোনও ক্ষতি সে করেনি। কিন্তু রাস্তার ওপর দিকভ্রান্তের মত ছুটতে থাকা হাতি যে বহু মানুষের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল তা পরিস্কার। কীভাবে সে পালাল তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।