১২০ বছরে এমনভাবে মাটি কাঁপেনি, এমন শ্মশানের কান্নাও শোনা যায়নি
১২০ বছরের রেকর্ড বলছে এমনভাবে কাঁপেনি এ মাটি। আর ইতিহাস বলছে মানবসভ্যতার জন্মের পর এখানে এতটা কম্পন কখনও হয়নি।
চারিদিকে কান পাতলে এখন হয় শ্মশানের নিস্তব্ধতা, অথবা বুক ফাটা কান্নার শব্দ। যে শহর একদিন আগেও ঝলমল করছিল, মানুষের কোলাহলে জীবন তার স্বাভাবিক ছন্দের আনন্দে মত্ত ছিল, সেই শহরটা কয়েক মুহুর্তের ব্যবধানে স্তব্ধ হয়ে গেল। সেখানে এখন শুধুই হাহাকার আর কান্না।
মৃতের সংখ্যা ১ হাজার পার করেছে। এখনও কত মৃত্যুর খবর যে শুনতে হবে তা বুঝতে পারছেন না মানুষজন। শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে প্রকৃতির যে কোপ নেমে এসেছে তার থেকে কবে যে মুক্তি মিলবে তা কারও জানা নেই।
ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৮। ১২০ বছরের রেকর্ডে মরক্কোতে এমন ভূমিকম্প কখনও হয়নি। ইতিহাস বলছে ১২০ বছর বলেই নয়, এখানে মানবসভ্যতার সৃষ্টির পর থেকে এমন ভয়ংকর মাত্রার কম্পন হয়নি। এই প্রথম এমন কম্পন অনুভূত হল।
মাটি এখানে আগেও কেঁপেছে। তবে এমন থরথর করে নয়। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল আল হাউজ প্রদেশের ম্যারাকেশ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে। মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার নিচে ছিল উৎসস্থল। যা কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে কাসাব্লাঙ্কা ও রাবাত শহর ২টিকে।
শহরের বাইরের অবস্থাও একই। শহর ২টিতে ভাঙা বাড়ির স্তূপ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। অধিকাংশ মানুষ রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন। প্রশাসন আপৎকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
কিন্তু যা ধ্বংসলীলা তাতে ফের কবে যে এ শহর ২টি তাদের পুরনো চেহারা ফিরে পাবে তা পরিস্কার নয়। যেমন পরিস্কার নয়, ঠিক কত মৃত্যু এবং ঠিক কত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা