বাংলা মশারী শামিল হল সেরা সম্মানের দৌড়ে
এ দৌড় যে সে দৌড় নয়। সহজ নয় সম্মান অর্জন। তবে দৌড়ে যে শামিল হতে পেরেছে এটাও যথেষ্ট বলে মনে করছে বাংলা মশারী।
বাংলা মশারী শামিল হল সেরা সম্মানের দৌড়ে। এ দৌড়ে জয় আসবে কিনা তা জানা নেই। তবে দৌড়ে শামিল হওয়াটাই বড় কথা।
মশাকে নিজের থেকে দূরে রাখতে মশারি বাংলার কেন দেশবিদেশের মানুষের কাছেও যথেষ্ট কার্যকরী একটি বস্তু। তবে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে মশারি ব্যবহার হয় অতি দরিদ্র থেকে ধনী প্রায় সকলের বাড়িতেই।
কারণ রক্ত লোলুপ মশা তো ধনী দরিদ্র দেখে না। আর এখানেই মশারী তার নিজস্ব একটা পথ ধরে এগিয়েছে। এগিয়েছে এক ভয় মেশানো মনঃস্তত্বকে আঁকড়ে ধরে।
সিনেমার পর্দায় তা ফুটিয়ে তুলতে পরিচালকের লেগেছে ২০ মিনিট। এই ২০ মিনিটের ছোট্ট সিনেমা মশারী দিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য যেমন অল্প সময়ের মধ্যে তুলে ধরেছেন, তেমনই বাংলাদেশের হয়ে একটি মাইলস্টোন তৈরি করেছেন।
বাংলাদেশের কোনও ধরনের সিনেমাই এখনও অস্কারের মুখ দেখেনি। সেই মঞ্চে মনোনয়ন পায়নি। তাই বাংলাদেশ কি সিনেমা তৈরি করতে পারে সে সম্বন্ধে অস্কার জুরিদের ধারনা নেই।
এই প্রথম কোনও বাংলাদেশের সিনেমা অস্কারের লড়াইয়ে শামিল হতে চলেছে। আগামী বছরের অস্কারের দৌড়ে থাকছে বাংলাদেশের ভয়ের সিনেমা মশারী।
বেস্ট লাইভ অ্যাকশন শর্ট ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের বাংলা সিনেমা অস্কার-এর সম্মান অর্জন করে আনতে পারবে কিনা তা কারো জানা নেই। তবে বাংলাদেশের এই অস্কারে যাওয়া অবশ্যই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গর্বের। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নুহাশ হুমায়ুন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা