নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির নায়িকা হিসাবে প্রযোজক-পরিচালক বেছে নিয়েছিলেন মৌনী রায়কে। বড় ব্যানারের সিনেমা। হয়ত এই সিনেমার হাত ধরে বলিউডে আরও একটু পায়ের তলার মাটি শক্ত করে তুলতে পারতেন বাংলার মেয়ে মৌনী রায়। সব ঠিকঠাক। কিন্তু শেষে মুহুর্তে প্রযোজক রাজেশ ভাটিয়ার শ্যেন নজরে পড়ে গেলেন মৌনী। এককথায় বাদ পড়লেন সিনেমা থেকে। মৌনীকে এতটাই আচমকা বাদ দেওয়া হল যে এখনও নতুন নায়িকা ঠিক করে উঠতে পারেননি প্রযোজক-পরিচালক।
এমন কী করলেন যে সেজন্য এভাবে বাদ পড়তে হল মৌনীকে? প্রযোজক রাজেশ ভাটিয়া সাফ জানিয়েছেন, তাঁর সিনেমা বানানো ‘হবি’ নয়। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা। যেখানে পেশাগত মানসিকতা জরুরি। কিন্তু তাঁর দাবি, মৌনী রায়ের সেই পেশাদারিত্বের অভাব আছে। স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনার জন্য মৌনীকে সময় দেওয়া হয়েছিল বিকেল ৩টেয়। তিনি এসে পৌঁছন বিকেল সাড়ে ৫টায়। সকলে বসে। প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা। এমন চলতে পারেনা। তাছাড়া স্ক্রিপ্ট সহ বেশ কিছু বিষয়ে মৌনী তাঁর অমত ব্যক্ত করেছেন বলেও দাবি করেন রাজেশ। তাঁর দাবি, খবরে টিকে থাকতে মৌনী এসব করে থাকেন।
সিনেমার নাম ‘বোলে চুড়িয়া’। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মত বড় নাম ছিল বিপরীতে। এমন সুযোগ হাতছাড়া হওয়াটা মৌনীর জন্য সুখের হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, অন্য প্রযোজকরাও তাঁকে নিয়ে কাজ করতে ভয় পেতে পারেন। অনেক চিত্র সমালোচক বলছেন, মৌনী এখনও এতবড় নাম হননি যে তাঁর নামে সিনেমা চলবে। ফলে এখন এসব না করাই ভাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা