World

এভারেস্টে প্রবল ‘ট্রাফিক জ্যাম’, লাইনে মৃত ২ ভারতীয় পর্বতারোহী

মাউন্ট এভারেস্টেও এখন ট্রাফিক জ্যাম। বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম শৃঙ্গে পৌঁছতেই হোক বা শৃঙ্গ জয় করে নামার সময়ই হোক। ট্রাফিক জ্যামে পড়তেই হচ্ছে পর্বতারোহীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই জ্যামে আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই ৮ হাজার ফুটের ওপর উচ্চতায় অতক্ষণ থাকার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মৃত্যু হচ্ছে। যেভাবে মৃত্যু হল কল্পনা দাসের।

৪৯ বছরের কল্পনাদেবী এভারেস্ট জয় করে ফেলেছিলেন। তিনি শৃঙ্গ জয়ের পর নিচে নামছিলেন। সেখানেই পাহাড়ের ব্যালকনিতে তিনি দীর্ঘ সময় নিচে নামার জন্য পর্বতারোহীদের ট্রাফিকে আটকে থাকেন। সেখানেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। এদিকে তখন ওঠার ট্রাফিকের ভিড়। ফলে তাঁর নামার সুযোগ আসতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত্যু হয় কল্পনা দাসের।


আর এক ভারতীয় পর্বতারোহী ২৭ বছরের নিহাল বাগওয়ান একইভাবে এভারেস্টের চুড়ো জয় করে নিচে নামছিলেন। সেখানে তখন ওঠা ও নামার জন্য প্রবল ভিড়। ফলে আটকে পড়েন নিহাল। শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। অবশেষে অনেক সময় পর তাঁকে উদ্ধার করে নামানোর চেষ্টা করে একটি শেরপাদের দল। নিহালকে নিয়ে ৪ নম্বর ক্যাম্পে পৌঁছয় দলটি। সেখানেই নিহালের মৃত্যু হয়। এভাবেই এভারেস্টে প্রবল ট্রাফিক জ্যামের জন্য মৃত্যু হচ্ছে অনেক পর্বতারোহীর।

একই সঙ্গে এক ৬৫ বছরের অস্ট্রিয়ান পর্বতারোহীর মৃত্যু হয় উত্তর তিব্বতের দিক দিয়ে ওঠার সময়। এই সপ্তাহের শুরুতেই ভারতীয় পর্বতারোহী অঞ্জলি কুলকার্নির মৃত্যু হয় ঠিক এই এক কারণে। এভারেস্টে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা প্রতিকূল পরিস্থিতি ছাড়াও পর্বতারোহীদের ভিড়ের কারণে প্রায় দিন মৃত্যু হচ্ছে পর্বতারোহীদের। এভারেস্টে ওঠা ও নামার জন্য প্রতি মুহুর্তে লম্বা লাইন পড়ছে। আর সেই লাইন পড়ছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮ কিলোমিটারের ওপরে। যে উচ্চতায় বেশিক্ষণ থাকা রীতিমত কঠিন কাজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button