এভারেস্টেও এবার পর্বতারোহীরা পাবেন এই অকল্পনীয় সুযোগ
এভারেস্টেও যে এমন সুযোগ পাওয়া যেতে পারে একথা এতদিন পর্যন্ত পর্বতারোহীরা ভাবতেও পারতেন না। কিন্তু এবার সেই সুযোগ তাঁদের হাতের মুঠোয় আসতে চলেছে।
যাঁরা পাহাড়ে চড়তে ভালবাসেন তাঁদের জন্য এভারেস্টের চুড়ো ছোঁয়া একটা স্বপ্ন। অনেকে তা বাস্তবায়িত করতে এভারেস্টের চুড়োর দিকে তাকিয়ে পাড়িও দেন। পর্বতের যত ওপরে ওঠা যায় ততই কমতে থাকে অক্সিজেন। বাড়তে থাকে সমস্যা। কমতে থাকে যাবতীয় আধুনিক জীবনের সুযোগ সুবিধা। যার একটি অবশ্যই ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট পরিষেবা এভারেস্টের কিছুটা ওপর থেকে পাওয়া দুষ্কর। কারণ অত উচ্চতায় টাওয়ার নেই কোনও সংস্থার। এবার সেই স্বপ্নও সফল হওয়ার পথে।
রথ দেখা আর কলা বেচার মতই, এভারেস্ট অভিযানে বেরিয়ে পড়া পর্বতারোহীদের এভারেস্টে বেস ক্যাম্পেও মিলবে হাইস্পিড ইন্টারনেটের সুবিধা। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৫ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় এবার তাদের টাওয়ার বসাচ্ছে নেপালের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এনসেল।
এটাই হতে চলেছে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে উঁচুতে থাকা টাওয়ার। ফলে বেস ক্যাম্প থেকেও পর্বতারোহীরা ৪জি গতির ইন্টারনেট পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। শুধু কথা বলাই নয়, চুটিয়ে ভিডিও কলিংয়ের সুবিধাও পেতে আর অসুবিধা হবে না তাঁদের।
এভারেস্টে প্রতি বছর ৬০ হাজার পর্বতারোহী হাজির হন। সকলেই চেষ্টা করেন এভারেস্টের চুড়ো ছুঁতে। রীতিমত লাইন পড়ে এভারেস্টের চুড়োয় পা রাখার জন্য।
আগামী দিনে এই এত মানুষ হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন এটা অবশ্যই এক বড় প্রাপ্তি। যদি সব পরিকল্পনা মাফিক এগোয় তাহলে চলতি বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যেই এই টাওয়ার বসে যাবে। পর্বতারোহীরা বেস ক্যাম্পে বসেই হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে থাকবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা