একটি নদীর কারণে এভারেস্টের উচ্চতা বেড়েই চলেছে, বলছে গবেষণা
একটি নদীর জন্য এভারেস্টের মত বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গটির উচ্চতা আরও বাড়ছে। অন্তত এমনই দাবি করছেন কয়েকজন গবেষক। কেন বাড়ছে তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
হিমালয় আরও লম্বা হচ্ছে। এমনিতেই তার লম্বার জন্যই যাবতীয় সুনাম। যাবতীয় তার আকর্ষণ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসাবে এভারেস্ট জয়ের টানে প্রতিবছর ছুটে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পর্বতারোহীরা।
যে উচ্চতা জয় করা যেকোনও পর্বতারোহীর কাছে স্বপ্ন সেই উচ্চতা প্রতিবছর আরও বেড়ে চলেছে। আর তা বাড়ছে একটি নদীর জন্য। যা আবার এভারেস্টের ৭৫ কিলোমিটার দূর দিয়ে বয়ে গেছে।
কীভাবে তা সম্ভব হচ্ছে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা বুঝিয়ে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি পরিস্কার করেছেন তাঁরা।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্রতিবছর এভারেস্ট ২ মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভারেস্ট ৫ থেকে ৬ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল। যে ২টি টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ায় তার সৃষ্টি সেই প্লেটের কারণে এভারেস্ট এখনও বাড়ে বলে আগেই জানা ছিল।
এখন গবেষকেরা দাবি করছেন তিব্বত থেকে নেপালে বয়ে আসা অরুণ নদীও এভারেস্টকে উঁচু করছে। কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তা হচ্ছে? গবেষকদের উত্তর, এই অরুণ নদী প্রবল গতিতে পাহাড়ি পথে ছুটতে থাকে।
তার স্রোতে নদীবক্ষে থাকা স্তর ধুয়ে পলি মাটি আকারে বয়ে যেতে থাকে নদীর সঙ্গে। পৃথিবীর উপরিস্তর যা পাতলা হয়ে লেপ্টে আছে, তা ক্ষয়ে যেতে থাকায় তার তলায় থাকা ম্যান্টল বেরিয়ে আসে।
মাটি ও পাথরের স্তর ধুয়ে গিয়ে ম্যান্টল বেরিয়ে আসার পর তা চাপ দিতে থাকে উপরের দিকে। সেই চাপ গিয়ে পড়ছে এভারেস্টের ওপর। যা এভারেস্টকে তলা থেকে ধাক্কা দিচ্ছে। ফলে এভারেস্ট উঁচু হচ্ছে।
গবেষকদের দাবি এভাবেই অরুণ নদী এভারেস্টকে উঁচু করে চলেছে। এই গবেষণার দাবি অন্য বিশেষজ্ঞেরা যেমন উড়িয়ে দিচ্ছেন না, তেমন এক কথায় মেনেও নিচ্ছেন না। তাঁরা মনে করছেন এ নিয়ে নিশ্চিত করে পৃথিবীকে জানাতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।