বছর শেষে একের পর এক ইন্দ্রপতন কোথাও গিয়ে বর্ষশেষের আনন্দে ভাটার টান এনে দিল। মন খারাপ হল বাঙালির। নিরুপম সেন, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পর আর এক স্বনামধন্য বাঙালিকে হারাল বঙ্গভূমি। চলে গেলেন মৃণাল সেন।
প্রখ্যাত এই চিত্র পরিচালকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। রবিবার ভবানীপুরে নিজ বাসভবনে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চলচ্চিত্র জগতের ‘মৃণালদা’।
২০০৫ সালে দেশের সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে পান মৃণাল সেন। ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করেছে। একের পর এক সিনেমায় নিজের উৎকর্ষের ছাপ রেখেছেন মৃণাল সেন।
পদাতিক, কলকাতা ৭১, ভুবন সোম, মৃগয়া, আকালের সন্ধানে, একদিন আচানক, একদিন প্রতিদিন – একের পর এক কালজয়ী সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর সিনেমায় বামপন্থী আন্দোলনের বিভিন্ন দিক বার বার উঠে এসেছে।
বহু দেশি, বিদেশি চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর সিনেমা পুরস্কৃত হয়েছে। চিত্র পরিচালক হিসাবে এখনও বঙ্গত্রয়ী হিসাবে নাম নেওয়া হয় সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন ও ঋত্বিক ঘটকের। মৃণাল সেন ছিলেন বাংলা সিনেমায় প্যারালাল সিনেমার অন্যতম পুরোধা।