গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তবে ছেলে বাইরে থাকায় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ছেলে কুণাল সেন কলকাতায় আসার পর বছরের প্রথম দিনের বিকেলে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। দুপুরে তাঁর দেহ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয় দেশপ্রিয় পার্কে তাঁর বাসভবনে। সেখান থেকে শববাহী গাড়িতে তাঁর ইচ্ছে মেনে অনাড়ম্বরভাবেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। দেশপ্রিয় পার্ক থেকে তাঁর অন্তিম যাত্রায় মৃণাল সেনের গাড়ি সাজানো না হলেও রোখা যায়নি চলচ্চিত্র জগতের মানুষের আবেগ। এদিন শেষ যাত্রায় রাস্তায় শববাহী যানের পিছন পিছন হাঁটেন চলচ্চিত্র জগতের রথী মহারথীরা। কবি শঙ্খ ঘোষ, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, অনীক দত্ত, মাধবী মুখোপাধ্যায়, শ্রীলা মজুমদার, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ রায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, নন্দিতা দাস সহ বহু স্বনামধন্য মানুষ।
অনেকের চোখেই ছিল জল। শেষ বিকেলের আলোয় মরদেহ এসে পৌঁছয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে কোনও বিশেষ বন্দোবস্ত ছিলনা। না গান স্যালুট, না ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। একেবারেই পারিবারিক রীতি মেনে তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পূর্ণ হয়। বছরের প্রথম দিনের আলো মুছে সবে সন্ধ্যা নামা শহরে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যান পদাতিক।