কলকাতা সহ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। মহানবী হজরত মহম্মদের দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন এবং তাঁর সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা ইরাকের কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদ সৈন্যদের হাতে নিহত হন। যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁরা মুসলিমদের কাছে ‘শহিদ’ হিসাবে পরিগণিত হন। হিজরি ৬১ সালের এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন। সে অর্থে শোকের উৎসব। নফল রোজা, জিকির-আসকর, নমাজের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাজিয়া বার হয়। হয় লাঠিখেলা।
মহরম উপলক্ষে তাজিয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাস্তায় এদিন যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বহু ধর্মপ্রাণা মুসলিম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সামিল হন। শহরের বিভিন্ন মুসলিম প্রধান অঞ্চলে ২ দিন আগে থেকেই মেলা বসেছিল। মহরমের দিনকে সামনে রেখে প্লাস্টিকের খেলনা থেকে তাজিয়া সাজানোর সরঞ্জাম, ছোট ছোট তরোয়াল, পিচবোর্ডের ছুরি, ছোট ছোট খেলনা বাজনা এসব বিকিয়েছে দেদার। প্রস্তুতি তাই সম্পূর্ণ হয়েছিল। বাকি ছিল মহরমের দিনটার। সেই দিনটা এদিন পালিত হল পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায়।
কলকাতাতেও এদিন বিভিন্ন রাস্তায় তাজিয়া বার হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন বহু ধর্মপ্রাণা মুসলিম। কালো পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন তাঁরা। ধর্মীয় রীতি মেনে বুকে চাপর দিতে দিতে এগিয়ে চলেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় কর্মসূচিও পালন করেন মুসলিমরা। সবমিলিয়ে পবিত্র এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশ জুড়ে পালিত হল এদিন।