পাড়ার সবজি বিক্রেতার কাছেও একসময় ধার করতে হয়েছিল বিখ্যাত গায়ককে
বাড়ির কাছে যে সবজি বিক্রেতা বসতেন তাঁর কাছ থেকেও এক সময় ধার চাইতে হয়েছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা গায়ককে। সে কথা জানালেন তাঁর ছেলে।
একসময় তাঁর কণ্ঠ গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলেছিল। তাঁর গান মুখে মুখে ঘুরত। তাঁর বিশেষ কণ্ঠস্বর ও সুরের মূর্ছনা মানুষকে মোহিত করত।
কিন্তু সেই মানুষটাকেই গান গাওয়ার সুযোগটুকু পেতে না খেয়ে কাটাতে হয়েছে দিনের পর দিন। ছেলের পড়ার খরচ দেওয়ার ক্ষমতা ছিলনা। শুধু লড়াই আর লড়াই।
এই কঠিন লড়াইয়ের পরও তাঁর সুর হারিয়ে যায়নি, তিনি যে ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বলতম তারকা হয়ে থেকে গেছেন সেটাই বড় প্রাপ্তি।
অথচ সেই মানুষটাই একসময় ছেলের স্কুলের মাইনে দেওয়ার জন্য বাড়ির কাছেই যে সবজি বিক্রেতা বসতেন, তাঁর কাছেও হাত পেতেছিলেন। ধার নিয়েছিলেন তাঁর কাছ থেকে। তবে ছেলের স্কুলের মাইনে দিতে পেরেছিলেন। তাঁর ছেলে নীতীন মুকেশ মনে করেন তাঁর বাবা মুকেশের লড়াইয়ের মত কাউকে লড়াই করতে দেখেননি তিনি।
মুকেশ চাঁদ মাথুর তাঁর নাম হলেও বলিউড থেকে গোটা দেশ তাঁকে মনে রেখেছে মুকেশ নামে। রাজ কাপুর থেকে দিলীপ কুমার, সুনীল দত্ত থেকে মনোজ কুমার, বলিউডের সাড়া জাগানো নায়কদের ঠোঁটে তাঁর গান চিরদিনের হয়ে গেছে।
মেরা জুতা হ্যায় জাপানি, আওয়ারা হুঁ, ইয়ে মেরা দিওয়ানাপন হ্যায় সহ এভাবে লিখে শেষ করা যায়না মুকেশের কণ্ঠে কালজয়ী গানের তালিকা।
সেই মানুষটি দিনের পর দিন চরম অর্থকষ্টে এক সময় দিন কাটিয়েছেন। ধার করেছেন সবজি বিক্রেতার কাছেও। একটি গানের অনুষ্ঠানে এসে সে কথা বলতে গিয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন তাঁর ছেলে গায়ক নীতীন মুকেশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা