ইউরোপের সবচেয়ে ধনীকে টপকে এবার ৪ নম্বরে মুকেশ আম্বানি
মুকেশ আম্বানি আরও এক কদম এগোলেন। বিশ্বের অন্যতম ধনীদের তালিকায় তিনি উঠে এলেন ৪ নম্বরে।
নয়াদিল্লি : মুকেশ আম্বানি দ্রুত এগোচ্ছেন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে তিনি এক এক করে পিছনে ফেলছেন বিশ্বের তাবড় ধনীদের। গত জুলাই মাসেই মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফে-কে টপকে যান তিনি। হৈচৈ ফেলে দেন বিশ্ব জুড়ে। ওয়ারেন বাফেকে পিছনে ফেলে রিলায়েন্স কর্তা উঠেছিলেন বিশ্বের ৫ নম্বরে। তারপর একমাসও কাটল না তিনি আরও এক ধাপ উঠে গেলেন। পিছনে ফেলে দিলেন ইউরোপের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে। ফ্রান্সের বার্নার্ড আরনল্টকে পিছনে ফেলে দিলেন তিনি। ফলে উঠে এলেন বিশ্বের ৪ নম্বর ধনকুবের হিসাবে।
মুকেশ আম্বানির সামনে এখন ৩ জন ধনকুবের রয়েছেন। অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস, মাইক্রোসফট কর্তা বিল গেটস এবং ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গ। তারপরেই ভারতের মুকেশ আম্বানি বিশ্বের চতুর্থ ধনকুবের, এটা ভারতবাসীর জন্যও গর্বের। একটি ভারতীয় সংস্থার মালিকের সামনে তামাম ইউরোপের কোনও ধনকুবের নেই এটা একটা বড় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
ফ্রান্সের বার্নার্ড আরনল্ট-এর সংস্থা এই কোভিড বিধ্বস্ত সময়েও জিনিসের দাম কমাতে পারছেনা। যা তাদের বিক্রিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ফ্যাশন দুনিয়ার বড় নাম বার্নার্ড আরনল্ট-এর লুই ভিতোঁ কিন্তু এখন কোভিড পরিস্থিতিতে বাজার হারিয়েছে। হিসাব বলছে বিশ্বের প্রথম ৫০০ জন ধনকুবেরের মধ্যে বার্নার্ড আরনল্ট এমন এক শিল্পপতি যিনি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তারই সুযোগে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশের পিছনে চলে গেছে।
মুকেশ আম্বানি ইতিমধ্যেই তেল, মোবাইল পরিষেবা সহ নানা ক্ষেত্রে নিজের দাপট অনেকটাই বাড়িয়েছেন। এবার তিনি নজর দিয়েছেন ই-কমার্স পরিষেবায়। কোভিড পরিস্থিতিতে এই নিউ নর্মাল দুনিয়ায় ই-কমার্স-এর রমরমা যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। অতিপ্রয়োজন ছাড়া গৃহবন্দি মানুষের চাহিদা পূরণে ই-কমার্স এখন বড় ভরসা। সেই ক্ষেত্রেই এবার জোর দিতে চাইছেন মুকেশ আম্বানি। প্রসঙ্গত গুগল গত মাসেই জানিয়েছে ভারতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে তারা ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চলেছে।