এ শহরের প্রায় প্রতি পরিবারের কমপক্ষে ১ জন সদস্য এ রোগে আক্রান্ত
শহরে যত পরিবার বাস করে তার প্রতি ৫টি পরিবারের ৪টি পরিবারের কমপক্ষে ১ জন করে সদস্য এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যা প্রশাসনের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
প্রায় প্রতিটি পরিবারে এমন ১ জন করে সদস্য কমপক্ষে রয়েছেন যিনি গলায় ঘা, সর্দি, চোখ জ্বালায় ভুগছেন। অনেক পরিবারে ১ জনের বেশি সদস্য বা অনেক পরিবারের সকল সদস্যই এই রোগে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে রাতের ঘুম উড়েছে শহর প্রশাসনের।
শহরবাসীকে এই চরম পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে দূষণ। মায়ানগরীর দূষণ মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে শহরে বসবাসকারী প্রায় প্রতিটি পরিবারের এখন সর্দি, গলায় ঘা এক না একজন সদস্যকে ভোগাচ্ছে।
দূষণ মাত্রার এই লাগামছাড়া পরিস্থিতিতে মুম্বই শহর জুড়ে এখন চিন্তার ভাঁজ। মুম্বই শহরে একদিনের বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে আতসবাজির প্রদর্শনী হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। শহর প্রশাসন শহরের প্রধান সড়কগুলি ধুয়ে পরিস্কার রাখার কাজ শুরু করেছে।
মহারাষ্ট্র থেকে বর্ষা বিদায়ের পর এবার অক্টোবরেই বেশ একটা হিমেল ভাব তৈরি হয়েছে। যা শীতের একটু আগেই আগমন বলে মনে করছেন অনেকে। এই বর্ষা বিদায়ের পর থেকেই ক্রমে দূষণ মাত্রা বাড়তে শুরু করে শহরে। যা দীপাবলির আগে এমন এক চরম আকার নিয়েছে।
মুম্বই পুরসভা এর কারণ হিসাবে শহরের ৬ হাজার নির্মাণকে দায়ী বলে মনে করছে। যেখানে যেখানে নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে মনে করছে তারা।
এজন্য নির্মাণ সংস্থাগুলিকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। নির্মাণের কাজ যেখানেই হচ্ছে সেখানে নিয়মিত জল ছিটিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা