আবু সালেম, মোস্তাফা ডোসা, তাহির মার্চেন্ট, ফিরোজ আবদুল রশিদ খান, করিমুল্লা খান, রিয়াজ সিদ্দিকি। দাউদ ঘনিষ্ঠ বলি পরিচিত এই ৬ জনকে ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল বিশেষ টাডা আদালত। এদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী আবু সালেম ও মোস্তাফা ডোসা-কে বিস্ফোরণের মূল চক্রী হিসাবে চিহ্নিত করেছে আদালত। আবু সালেম পর্তুগালে পালিয়ে গেলেও তাকে ২০০৫ সালে ভারতে ফিরিয়ে আনে সরকার। ডোসাও পালিয়ে গিয়েছিল আরব আমিরশাহীতে। সেখান থেকে তাকেও বিচারের জন্য ভারতে নিয়ে আসা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে এদিন আর এক অভিযুক্ত আবদুল কায়ুম-কে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। এছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী দাউদ ইব্রাহিম সহ বেশ কয়েকজন পলাতক। এদিন ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তাদের সাজা ঘোষণা হবে আগামী সোমবার। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ পরপর ১৩টি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বই। বিস্ফোরণ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ, এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং, জাভেরি বাজার, হোটেল সি রক সহ ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। গুরুতর আহত হন ৭০০ জন। ২৭ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়। ছড়ায় ভয়াল আতঙ্ক। এই মামলার প্রথম পর্যায় শেষ হয় ২০০৭ সালে। সেখানে ১০০ জনকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে ইয়াকুব মেমনও ছিল। ২০১৫ সালে নাগপুর জেলে তার ফাঁসি হয়।