প্রবল বৃষ্টি গত ২৮ জুন থেকেই শুরু হয়েছে মুম্বইতে। কিছুটা মাঝে কমেছিল ঠিকই। তবে ফের তা বেড়েছে। আর বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টির জেরে মুম্বই ও শহরতলীতে মৃত্যু হয় ৩৯ জনের। আহত হন ৭৫ জন। গত মঙ্গলবার মুম্বইতে ছুটি ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তারপর বৃষ্টি কিছুটা কমেছিল। কিন্তু তা ফের বাড়ে গত শুক্রবার থেকে। শনিবারও ভাল বৃষ্টি হয়েছে মুম্বইতে। রবিবারও তাই। সোমবার থেকে সেই বৃষ্টির দাপট আরও অনেক বেড়েছে। ফলে মুম্বই শহরের অধিকাংশ জায়গায় জল দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই কর্মস্থলে পৌঁছতে কালঘাম ছুটেছে আমজনতার।
সোমবার সকালে বৃষ্টি এতই মুষলধারে হয়েছে যে বেশ কিছুক্ষণ মুম্বই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। তবে কোনও বিমান বাতিল হয়নি। ৩টি বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে নামাতে হয়। বেশ কয়েকটি বিমান আকাশে চক্কর দিয়ে নামে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর। এদিকে মুম্বই সহ কোঙ্কণ উপকূলে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
মুম্বই সহ কোঙ্কণ উপকূল জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আরব সাগরে যেতে মানা করা হয়েছে। সাগরে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণের ফলে ঢেউ উথাল পাতাল করছে বলে জানানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বাণিজ্য নগরী মুম্বইকেও সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে মুম্বইতে যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে এই সপ্তাহেও চরম ভোগান্তি অপেক্ষা করছে মুম্বইবাসীর জন্য।
সোমবার প্রবল বর্ষণের জেরে শিবাজি নগর এলাকায় একটি একতলা বাড়ি ধসে পড়ে। ৮ জন এই ঘটনায় আহত হন। তবে কেউ মারা যাননি। এদিকে নবি মুম্বই সহ মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় জল কোমর ছাড়িয়েছে। অনেক রাস্তা দিয়েই যান চলাচল বন্ধ। অনেক জায়গায় জল রয়েছে বলে যান চলাচলের গতি কম রয়েছে। তবে সোমবার সড়ক পথের যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও মুম্বই লাইফলাইন লোকাল ট্রেনের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা