মুম্বই এবার প্রবল বর্ষণের সাক্ষী হচ্ছে। বর্ষার শুরু থেকেই মুম্বইতে বেশ কয়েকবার জনজীবন বৃষ্টির জন্য ব্যাহত হয়েছে। এরমধ্যেই বৃষ্টির জন্য মুম্বই শহরের মানুষজনকে ঘর থেকে না বার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মাঝে বৃষ্টি হলেও তা জনজীবন স্তব্ধ করে দেয়নি। বুধবার দিল। রাত ১টা থেকে মুম্বইতে বৃষ্টি শুরু হয়। যা টানা চলেছে রাতভর।
সারারাত বৃষ্টি হওয়ার ফলে মুম্বইয়ের ঘুম ভেঙেছে প্রবল বর্ষণে। আর শহর ভরা জলে। ভোরেই মুম্বইয়ের অনেক জায়গা জলের তলায় চলে যায়। বিশেষত শহরের নিচু এলাকাগুলিতে জল ভরে গেছে। যার জেরে সকাল থেকেই ট্রেন চলেছে ধীর গতিতে। কারণ অনেক জায়গায় ট্রেনের ট্র্যাকে জল উঠে এসেছে। অনেক রুটে ট্রেন আধঘণ্টাও দেরিতে যাতায়াত করেছে। গোটা শহরটাই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেই সমস্যা মানুষকে সমস্যায় জর্জরিত করেছে। বহু মানুষ এদিন কর্মস্থলে পৌঁছতে হিমসিম খান। ট্রেনের সমস্যা। সড়কপথে জল। এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন সকলে। সমস্যায় পড়ে স্কুল পড়ুয়ারাও। তারাও বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আটকে পড়ে। ফলে স্কুলে সময়ে পৌঁছতে পারেনি।
একই পরিস্থিতি রাস্তার। আরও শোচনীয় হাল। অনেক জায়গায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়েছে। অন্য রাস্তাগুলিতে প্রবল যানজট। পারেল, দাদর, ওয়াডলা, কুরলা, সিয়ন, তিলক নগর, আন্ধেরি, সান্তাক্রুজ, খার, গোরেগাঁও, মালাড সহ বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গেছে। রাত ১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত মুম্বই শহর ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে শহরটার কী পরিস্থিতি হতে পারে। আবার সেই শহর যেখানে সহজে জল নামা মুশকিল। যতক্ষণ না সমুদ্রে ভাটার টান আসছে।
এদিকে প্রায় স্তব্ধ হতে চলা মুম্বই শহরের জন্য আরও চিন্তার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২ দিন আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শুধু মুম্বই বলেই নয়, গোটা কোঙ্কণ উপকূলীয় এলাকা জুড়েই প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা