গত সপ্তাহেও ঠিক এমনই একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সেটাও ছিল উইকএন্ড। এ সপ্তাহেও একই পরিস্থিতি। এটাও উইকএন্ড। গত ১০ দিন ধরেই বাণিজ্য নগরীতে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। কখনও একটু থামছে। কখনও ফের নামছে। কিন্তু গত সপ্তাহান্তে ও এ সপ্তাহের শেষে টানা বৃষ্টি দেখল মুম্বই। ফলে বানভাসি হল শহর। নিচু এলাকায় জল উঠল কোমর পার করে। এ সপ্তাহে বৃষ্টির মধ্যেই মুম্বই জনজীবন চলছিল নিজের গতিতে। সমস্যা ছিল সড়ক পথে যাতায়াত বা ট্রেনে দেরি। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাত থেকে ফের অঝোর বর্ষণ শুরু হয় শহরে।
টানা বৃষ্টি চলতেই থাকে। সারা রাত বৃষ্টি ও সকালের আলো ফোটার পরও বিরামহীন বর্ষণ মুম্বইকে শনিবার সকাল থেকে ফের স্তব্ধ করে দিয়েছে। যদিও শনিবার হওয়ায় অধিকাংশ অফিস বন্ধ। ব্যস্ততাও কম। তবু যাঁরা বার হয়েছেন বা বার হতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের ভোগান্তি এদিন সকাল থেকেই চরমে উঠেছে। ট্রেন চললেও তা চলছে মন্থর গতিতে। ফলে ট্রেন দেরিতে চলছে। বিমান অবশ্য ওঠানামা করেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রায় ৩০ মিনিট দেরিতে। সড়ক পথের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।
জল জমার জন্য মুম্বই বিখ্যাত। শনিবার সকাল থেকেই কান্ডিভলি, বোরিভলি, খার, সান্তাক্রুজ, আন্ধেরি, পারেল, মুতুঙ্গা, দাদর, ভিকরোলি, সিয়ন, ঘাটকোপর, কুরলা, মুলুন্দ সর্বত্র জলে জলমগ্ন। নালা সোপারা, ভাসি, মীরা রোডের একাংশ সহ বিভিন্ন এলাকা এতটাই জলের তলায় যে সেখানে যানবাহন, মানুষ কেউই যাতায়াত করতে পারছেন না।
এদিকে মুম্বই সংলগ্ন সমুদ্রও উত্তাল। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে। রাস্তায় জল এসে পড়ছে তাজ হোটেলের সামনে। এই পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের বৃহন্মুম্বই পৌরসভার তরফে সমুদ্রের ধারে যেতে মানুষকে নিষেধ করা হয়েছে। মুম্বইতে অনেকেই সমুদ্র উত্তাল হলে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন এলাকায় ঢেউয়ের ছোঁয়া পেতে রাস্তার ধারের বাঁধানো রকে ভিড় জমান। আনন্দ করেন। যাতে অনেক সময় সামিল হন পর্যটকরাও। এটাও মুম্বই শহরের এক অনবদ্য আনন্দের খোরাক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা