বৃষ্টি প্রলয়ে মৃত ২২, জারি লাল সতর্কতা
মোচার খোলের মত ভেসে যাচ্ছে গাড়ি। ভেঙে পড়ছে একের পর এক বাড়ি। আকাশ ভাঙা বৃষ্টির জেরে বানভাসি নগরী। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। মৃত ১৫।
বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে বর্ষার সময় এমন ৩-৪টে দিন যায় যেদিন বাড়িতে বসে কার্যত ইষ্টনাম জপ করেন মানুষজন। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হতেই থাকে। যেমনটা হয়েছে শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত। আর প্রলয়ঙ্করী বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় চলে গেছে গোটা মুম্বই।
গত শনিবার রাত থেকে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। যা রাত ২টো পর্যন্ত প্রবল বেগে হতে থাকে। পরে তার বেগ কিছুটা কমলেও চলেছে রবিবার সকাল পর্যন্ত। ফলে মুম্বই শহর ও শহরতলীর অধিকাংশ জায়গা জলের তলায় চলে যায়।
চেম্বুর ও ভিকরোলি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি প্রবল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন মানুষজন। বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
২২ জনের দেহ বার করে আনা সম্ভব হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। বানভাসি পরিস্থিতির কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
দাদর, সিওন, চুনাভাট্টি, গান্ধী মার্কেট, চেম্বুর, কুরলা সহ বহু এলাকায় কার্যত বন্যা হয়ে গেছে। অনেক বাড়িতেই জল ঢুকে পড়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তায় বার হওয়ার উপায় নেই।
মুম্বই জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। মানুষকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা। এমন অনেক মোবাইলে তোলা ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ঘুরছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি মোচার খোলের মত ভাসছে জলে।
এদিকে মুম্বই লাইফ লাইন বলে পরিচিত সেখানকার লোকাল ট্রেনের যাতায়াতে প্রবল প্রভাব পড়েছে। সেন্ট্রাল এবং ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে লাইন বন্ধ। জলের তলায় চলে গেছে রেললাইন। ফলে জল না সরা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ।
একটাই ভাল যে রবিবার। ফলে মানুষের কর্মস্থলে পৌঁছনোর চিন্তা নেই। কিন্তু আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এখানেই শেষ নয়। আগামী প্রায় ৬ দিন এমনই ভারী বৃষ্টি হবে মুম্বইতে। ফলে সোমবার থেকে কি হবে তা নিয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। চিন্তায় প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা