২০০৫ সালের পর বৃষ্টির এমন ভয়ংকর রূপ দেখেনি বাণিজ্য নগরী মুম্বই। শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহের শেষে। এখনও সেই বৃষ্টি চলেই চলেছে। মাঝেমধ্যে সামান্য থামছে। আবার ঝরঝর করে নেমে পড়ছে। এমন প্রবল বর্ষণে গোটা মুম্বই নগরী জলের তলায় চলে গেছে। অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচলই করতে পারছে না। যেখানে পারছে সেখানে অমানুষিক যানজট। তারমধ্যে চারদিক ঝাপসা করা বৃষ্টি ক্রমশ পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। অনেক নিচু জায়গাতে ইতিমধ্যেই জল কোমর ছাড়িয়ে বুকের কাছে পৌঁছেছে। বাড়ি থেকে বার হওয়া দূরে থাক, বাড়ির মধ্যেও টেকার উপায় নেই। একতলা জলের তলায় চলে গেছে। যদিও মুম্বইয়ের লাইফলাইন বলে খ্যাত রেল যোগাযোগ মঙ্গলবার বেলা পর্যন্ত পুরোপুরি স্তব্ধ হয়নি। তবে ট্রেন চলছে ধীর গতিতে। অনেক ট্রেন বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে অবস্থা আরও শোচনীয় করেছে মুম্বইমুখী দুরন্ত এক্সপ্রেস থানের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে লাইনচ্যুত হয় দুরন্ত। ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল সকাল থেকেই বন্ধ। অফিস কাছারি পৌঁছতে মানুষের যন্ত্রণার শেষ নেই।
বৃষ্টির জেরে প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচলেও। অনেক বিমান সময়ে ছাড়তে পারেনি। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাঁরা বার হয়েছেন তাঁদের গাড়িতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। তারমধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে ওয়াইপার চালিয়েও সামনের ঝাপসা ভাব কাটছে না। ফলে শম্বুক গতিতে গাড়ি চালানো ছাড়া গতি নেই। জল এক এক জায়গায় এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে অনেক গাড়ি রাস্তাতেই জলে ডুবে বিপাকে পড়েছে।
এরমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মুম্বইবাসীর কপালের ভাঁজ পুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মঙ্গলবার তো ভারী বৃষ্টি চলবেই। বুধবারও একই রকম প্রবল গতিতে বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে তারা। ফলে মুম্বইয়ের চেহারা ঠিক কোন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় তা ভেবেই আতঙ্কে শিউরে উঠছেন মুম্বইবাসী।