জল নামছে বাণিজ্যনগরীর বুক থেকে। স্বাভাবিক না হলেও ক্রমে স্বাভাবিকের পথে মুম্বই। বৃষ্টিও কমেছে। সকালের দিকে রোদেরও ঝলক মিলেছে। সেইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে যে ভয়ংকর বৃষ্টি মঙ্গলবার প্রত্যক্ষ করেছেন মুম্বইবাসী, সেই বৃষ্টির আর সম্ভাবনা নেই। তবে টুকটাক বৃষ্টি হতেই পারে। ফলে সব মিলিয়ে বুধবার হাঁফ ছেড়েছে মুম্বই। কিন্তু ২০০৫-এর সেই ভয়ংকর আকাশ ভাঙা বৃষ্টির পর এই ৪ দিনের বৃষ্টিই সবচেয়ে বেশি অচল করে দিল মুম্বইকে। ইতিমধ্যেই বৃষ্টিতে ১৫ জনের প্রাণ গেছে বলে খবর। অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে প্রবল স্রোতে জলে ডুবে। কয়েকজনের অবশ্য পুরনো বাড়ি ধসেও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বহু মানুষ গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরতে পারেননি। জলের তলায় থাকা শহরে রেল স্টেশন বা হোটেলে বা চেনা কারও বাড়িতে রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। এঁরা অনেকেই এদিন সকালে বিভিন্ন পথে বাড়ি ফিরেছেন। তবে বুধবার সকালেও মুম্বইয়ের লাইফলাইন ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। অনেক ট্রেন বাতিল হয়েছে। কিছু ট্রেন চললেও তা অনেক দেরিতে ছুটছে। রেললাইনের ওপর থেক অনেক জায়গাতেই জল সরেনি।
এদিন মুম্বইয়ের সব স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, এমনকি সাধারণ মানুষও এদিন কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। বৃষ্টি কমায় জল নামতে শুরু করলেও পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ২৪ ঘণ্টা লেগে যাবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ।
এদিকে প্রতি বছরই বৃষ্টিতে মুম্বই বিপর্যস্ত হয়ে থাকে। শেষ ৪ দিনের বৃষ্টি অতি ভয়ংকর চেহারা নিয়েছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে বর্ষাকালে মুম্বই অচল হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সব জেনেও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে কেন মুম্বই পুরসভা সহ রাজ্য সরকার সচেষ্ট হয়না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চরম কষ্টে মঙ্গলবারটা কাটানো মুম্বইবাসী।