বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দিরটি রয়েছে বাংলার পাশেই, বয়স জানলে অবাক হতে হয়
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দির কোনটি। এত মন্দিরের মধ্যে এটা অনেকের জন্য কঠিন প্রশ্ন হতেই পারে। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দিরটি রয়েছে এই বাংলার পাশেই।
কলকাতা থেকে বেশি দূর যাত্রা করতে হবেনা। কিছুটা পথ অতিক্রম করলে বাংলার গায়েই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দির। ফলে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব প্রশ্নাতীত।
এ মন্দিরে এখনও শক্তির আরাধনা হয়। সেই সঙ্গে এখানে শিবেরও আরাধনা হয়। মন্দিরটি ১০৮ খ্রিস্টাব্দে তৈরি বলে মনে করা হয়। ফলে হিন্দু মন্দির বলতে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দির এটিই। যা এখন নিজের মত দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে এখনও পুজোপাঠ যেমন নিয়ম মেনে হয় তা হচ্ছে।
ফলে সক্রিয় মন্দির বলতে বিশ্বের এখন সবচেয়ে পুরনো হিন্দু মন্দির হল এই মুণ্ডেশ্বরী মন্দির। যা বিহারের শোন নদীর ধারে কাইমুর মালভূমির মুণ্ডেশ্বরী পাহাড়ের ওপর রামগড় গ্রামে অবস্থিত।
সারাবছর এই মন্দিরে ভক্তের ঢল লেগে থাকে। ৬৩৬ সালে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর লেখায় এই মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়।
রামনবমী ও শিবরাত্রির দিন বিশেষ করে ভক্তের ঢল নামে এই মন্দিরে। প্রাচীন এই মন্দিরে নবরাত্রির সময় একটি মেলা বসে। যাকে কেন্দ্র করেও প্রচুর মানুষের আগমন ঘটে এখানে।
মন্দিরটির গঠনশৈলী যথেষ্ট নজরকাড়া। পুরো মন্দিরটি পাথর দিয়ে তৈরি। অষ্টভুজ আকারের মন্দিরটির গঠনশৈলী বড় একটা দেখা যায়না। বিশেষ অষ্টভুজ আকৃতির মন্দির বিরল। একে বলা হয় নাগারা শৈলী। যা একটি প্রাচীন গঠনশৈলী হিসাবেই পরিচিত।
পাটনা থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মুণ্ডেশ্বরী মন্দির। যা শুধুই একটি মন্দির নয়, বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সক্রিয় হিন্দু মন্দির।