তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তাঁর ভক্ত, দলীয় কর্মীদের ভিড় লেগে ছিল হাসপাতালের সামনে। অনেকের চোখেই ছিল জল। তাঁর আরোগ্য কামনা করে কেউ ডাকছিলেন ঈশ্বরকে। কেউ পুজো দিচ্ছিলেন। অবশেষে গত মঙ্গলবার সন্ধেয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তামিলনাড়ু প্রবাদপ্রতিম নেতা শ্রীমুথুভেল করুণানিধি।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। বুধবার ভোর থেকে সেই ভিড় জনস্রোতের চেহারা নেয়। করুণানিধির মরদেহ শায়িত রয়েছে চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে। সেখানে সকাল থেকেই বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির ভিড় জমে। তাঁদের ভিআইপি গেট দিয়ে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হলের সামনে ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। এদিকে ভিড়ের চাপ বাড়তেই থাকে। ভিড় সামলাতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। তবু একসময়ে ভিআইপি গেটের দিকে ব্যারিকেড আমজনতার ভিড়ের চাপে কিছুটা ভেঙে যায়। সেই সময়ে পুলিশ ভিড় সামলাতে মৃদু লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় বলে খবর। তাতে কিছুটা হুড়োহুড়ির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কয়েকজন ভিড়ের ঠেলায় পড়ে যান। পদপিষ্ট হন। তবে বড় ধরণের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এদিন যতই বেলা গড়িয়েছে ততই অগণিত মানুষের ভিড় জমেছে রাজাজি হলেন সামনে।