ধসে পড়ল পাহাড়ের গা, ১১৩ জনের মৃত্যু
পাহাড়ের গা ধসে পড়ে মৃত্যু হল ১১৩ জনের। এখনও বিশাল ধসের তলায় কতজন চাপা পড়ে আছেন তা পরিস্কার নয়।
ইয়াঙ্গন : জেড পাথরের অলঙ্কার অনেক নারীরই প্রিয় সঙ্গী। অলংকার প্রেমীদের কাছে এই পাথর সুপরিচিত। রত্ন না হলেও একে আধা রত্ন বলা হয়ে থাকে। ২ ধরনের জেড পাথর হয়। নেফ্রাইট ও জেডাইট। এরমধ্যে নেফ্রাইট তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। অনেক রঙের হয় জেড পাথর। সবুজ, হলুদ, লাল, বেগুনি, সাদা, কালো। এই জেড পাথর সংগ্রহ করতে খননের প্রয়োজন হয়। জেড খনি হয়। সেখানেই খনন করে জেড পাথর সংগ্রহের কাজ চলছিল। আর ঠিক সেই সময়ই গা ঘেঁষা বিশাল পাহাড় থেকে এক অতিকায় চাঁই খসে ধস নামে শ্রমিকদের ওপর।
জেড পাথর সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মায়ানমারে। মায়ানমারের কাচিন রাজ্যকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অফ জেড’। মায়ানমারের এই রাজ্য জেড এর জন্য বিশ্বখ্যাত। কাচিনের অধিকাংশ মানুষের রুটিরুজিই হল জেড। জেড সংগ্রহের কাজ করে সংসার চালান অনেকে। তেমনই একটি জেডের খনির ওপর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ৩০৪ ফুটের একটি চাঁই ধসের আকারে নেমে আসে। কেউ পালানোর পথ পাননি।
বিশাল মাটিধসের নিচে চাপা পড়ে যান সব শ্রমিক। এখানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তারফলেই পাহাড়ের গা আলগা হয়ে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এক এক করে দেহ বার করে আনা হয়। এখনও ১১৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও দেহ পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশাল ধ্বংসস্তূপ সরাতে হিমসিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা