বৈদিক শহর হয়ে যাচ্ছে রামায়ণ মহাভারতের নৈমিষারণ্য
বদলে যেতে চলেছে নৈমিষারণ্য। তা একটি বৈদিক শহরের রূপ নিতে চলেছে। দেশে এই প্রথম বার কোনও বৈদিক শহর জন্ম নিচ্ছে।
বৈদিক শহর বললেই কয়েক যুগ পিছিয়ে যেতে হয়। তবে দেশের আধ্যাত্মিক, ধর্মীয় এবং ইকো-ট্যুরিজমের বিশ্বব্যাপী এক কেন্দ্র হয়ে উঠবে বৈদিক শহর। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও শুরু হয়ে গেছে। দেশে এই প্রথম এমন কোনও বৈদিক শহর তৈরি হতে চলেছে। আর তা তৈরি হচ্ছে নৈমিষারণ্যে।
এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে পুরো জঙ্গল, অরণ্য সাফ করে সেখানে বৈদিক শহর তৈরি হবে। নৈমিষারণ্য নামটি কিন্তু রামায়ণ ও মহাভারত ২ মহাকাব্যেই পাওয়া যায়। নৈমিষারণ্যের উল্লেখ বরাহ পুরাণ সহ অন্য পুরাণেও রয়েছে।
গোমতী নদীর ধারে এটি ছিল প্রাচীন বন। যেখানে ৬০ হাজার ঋষি মুনি একসঙ্গে বসবাস করতেন। এখন নৈমিষারণ্য যা নিমসার নামেও পরিচিত, সেটি একটি তীর্থক্ষেত্র।
এখানে রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর মন্দির। বিষ্ণুর যে ৮টি মন্দিরের কথা বলা হয়, তার একটি এই নৈমিষারণ্যের মন্দিরটি। নিমিশনাথ দেবরাজা মন্দিরটিই এখানকার প্রধান আকর্ষণ। যেখানে অধিষ্ঠান করছেন ভগবান বিষ্ণু। এছাড়া রয়েছে একটি লক্ষ্মী মন্দিরও।
মন্দির সংলগ্ন একটি গোলাকার পুকুর রয়েছে। যাকে বলা হয় চক্র কুণ্ড। এই চক্র কুণ্ডে বিশেষ বিশেষ দিনে স্নান করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তের ঢল নামে।
নৈমিষারণ্যের পৌরাণিক গুরুত্ব বিবেচনা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার এখানে একটি বৈদিক শহর তৈরি করে একে দেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক পর্যটনকেন্দ্রের রূপ দিতে চলেছে।
লখনউ শহর থেকে ৯৩ কিলোমিটার দূরে সীতাপুর জেলায় অবস্থিত নৈমিষারণ্যের চেহারা কিন্তু বদলে যেতে চলেছে অচিরেই। তার প্রাথমিক পরিকল্পনাও নেওয়া হয়ে গেছে। নৈমিষারণ্য তীর্থ বিকাশ পরিষদ গঠন করে পুরো বিষয়টিকে বাস্তব রূপ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা