এ গ্রামে অতিথি বাড়িতে এলে তাঁর সাথে রাত কাটান গৃহকর্ত্রী
অবাক করা হলেও এটাই ঘটে চলেছে। এ এক প্রাচীন প্রচলিত সংস্কৃতি। বাড়িতে কোনও অতিথি এলে তাঁর সঙ্গে রাত কাটাতে গৃহকর্তাই তাঁর স্ত্রীকে পাঠান।
এ এক অবিশ্বাস্য সংস্কৃতি। যা শুনে স্বাভাবিকভাবে মনে হতেই পারে যে এমনটা চলতে দেওয়া যায়না। কিন্তু এক জনজাতিতে এমনটাই প্রাচীন রীতি। নামিবিয়ায় হিম্বা নামে এক জনজাতি রয়েছে। এরা নিজেদের প্রাচীন রীতি পোশাক সবই ধরে রেখেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
এই জনজাতিতে কোনও মহিলার বিয়ে স্থির করেন তাঁর বাবা। তিনি ওই জনজাতিরই যে পুরুষের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন সেটা ওই নারীকে মেনে নিতে হয়।
বিয়ের পর আবার আরও বড় জটিলতা। এই জনজাতির প্রাচীন রীতি হল এখানে কারও বাড়িতে কোনও অতিথি এলে যদি গৃহকর্তা তাঁকে বাড়িতে থাকতে দেন, তাহলে তাঁর আতিথেয়তায় ত্রুটি রাখেন না।
এমনকি আতিথেয়তা সেই পর্যায়ে পৌঁছয় যে রাতে নিজের স্ত্রীকে তিনি পাঠান ওই অতিথির সঙ্গে রাত কাটাতে। আপ্যায়নের অংশ হিসাবে গৃহবধূ মিলনে বাধ্য থাকেন ওই অতিথির সঙ্গে।
আবার রাতে যখন স্ত্রী অতিথির ঘরে ঢুকে যান, তখন অন্য ঘরে বা ঘর না থাকলে বাইরে রাত কাটান স্বামী। এটা মেনে নেওয়ার অযোগ্য হলেও হিম্বা জনজাতির প্রাচীন সংস্কৃতির অংশ এটা।
তবে এমনও হয় যে ওই মহিলা অতিথির সঙ্গে মিলনে নাও রাজি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে শারীরিক স্পর্শ না হলেও তাঁকে অতিথির ঘরে রাত কাটাতেই হবে। এটাই এখানকার প্রাচীন রীতি। যা মেনে চলেছে এ জনজাতির প্রজন্মের পর প্রজন্ম।