ভৌতিক শহরের কোনও বাড়িতে থাকেনা মানুষ, বাড়ি ভর্তি শুধু বালিতে
এ শহরে কেউ থাকেন না। গোটা শহরটাই ভৌতিক বলে পরিচিত। বাড়িগুলো দেখলেই তা বোঝা যায়। বাড়িগুলোয় আবার অদ্ভুত জিনিস ভরা।
এ শহর এক সময় যথেষ্ট সুন্দর এক জায়গা ছিল। মানুষের বসবাস ছিল। তাও খুব বেশি আগের কথা নয়। ১৯০৮ সালেও এ শহরে মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু তখনই এখানে পাওয়া যায় হিরের খোঁজ। তারপর ক্রমে এ শহরে মানুষ কমতে থাকে।
এক সময় শহরটা মানবহীন হয়ে পড়ে। গোটা শহর ক্রমে এক ভৌতিক চেহারা নিতে শুরু করে। ধ্বংসস্তূপের মত পড়ে থাকে বাড়িগুলি।
ভেঙে পড়তে থাকে কাঠামো। দরজা, জানালা থেকে বাড়ির নানা অংশ ভেঙে পড়ে যত্নের অভাবে। কেউ তো নেই। যত্নটা করবে কে!
ক্রমে এ শহরের বাড়িগুলিতে জমা হতে থাকে বালি। বালি আর বালিতে ভরে যায় শহরটা। তার মাঝেই দাঁড়িয়ে থাকে ভাঙাচোরা বাড়ি।
নামিবিয়ার লুডেরিৎজ শহর থেকে সামান্য দূরেই রয়েছে ভৌতিক শহর কোলমানস্কপ। এই ভৌতিক শহরে এখন অনেকে আসেন ঠিকই, তবে থাকতে নয়। ছবি তুলতে।
ছবি শিকারিদের কাছে এই ভৌতিক শহরের সর্বত্রই ফ্রেম ছড়িয়ে আছে। সেসব ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন তাঁরা। দূরদূরান্ত থেকে ফটোগ্রাফাররা এখানে হাজির হন ভাল ছবি পাওয়ার আশায়।
এখানে এত বালি কোথা থেকে এল? নামিবিয়ার লুডেরিৎজ শহর আটলান্টিক মহাসাগরের গায়ের এক বন্দর শহর বলেই পরিচিত। এ শহর আবার পরিবেষ্টিত নামবি মরুভূমি দিয়ে।
এই মরুভূমির বালিই বিভিন্ন সময়ে হাওয়া ও ঝড়ের হাত ধরে কোলমানস্কপ শহরের পরিত্যক্ত বাড়িগুলিকে বালিতে ভরে দিয়েছে বলে মনে করা হয়।