খরায় শুকিয়ে গেছে ফসল, বাঁচতে হাতি, জলহস্তী, জেব্রাদের প্রাণ কাড়ছে দেশ
এল নিনো-র চরম প্রভাব। তার জেরেই দেশের একটা বড় অংশের ক্ষেতখামার শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। বাঁচতে হাতি, মোষ, জেব্রা, হরিণের প্রাণ কাড়ায় সবুজ সংকেত দিল সরকারই।
এমন গরম নাকি সেখানে দেখা যায়নি। এমনই চরম পরিস্থিতি। ফসল সব জমিতেই শুকিয়ে গিয়েছে। ক্ষেতখামার সব শুকিয়ে গিয়েছে। মাটি ফেটে চৌচির। সামান্য জল পাওয়া এক কঠিন কাজ। খোদ রাষ্ট্রসংঘই জানিয়ে দিয়েছে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার অর্ধেক মানুষ অনাহারের কবলে পড়েছেন।
ঠিকমত দুবেলা খাবারও পাচ্ছেন না তাঁরা। দেশের এই চরম পরিস্থিতিতে আরও এক চরম সিদ্ধান্ত কার্যত গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। প্রবল খরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দেশের মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে খোদ নামিবিয়া সরকারই বড় চেহারার ৭২৩টি পশুর জীবন কাড়ায় সবুজ সংকেত দিয়েছে।
বড় চেহারার পশু মানে একটা পশু থেকেই প্রচুর মাংসের যোগান। সেই মাংসই এবার খাবার হিসাবে তুলে দেওয়া হচ্ছে নামিবিয়ার অনাহার আক্রান্ত মানুষের মুখে।
যেসব প্রাণিদের জীবন কাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রজাতির হরিণ, মোষ, জলহস্তী, হাতি, জেব্রার মত প্রাণি। তাদের এক একটি প্রাণি প্রচুর মাংসের যোগান দেবে।
ফলে তা দেশের খাদ্যাভাবে কাতর মানুষের খাবার হিসাবে কাজে আসবে। তাঁদের মধ্যে মাংস বিতরণও করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত যেখানে বিশ্বজুড়ে প্রাণিদের বাঁচানোর জন্য লড়াই চলছে, সেখানে নামিবিয়ার মত দেশে কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে পশুদের প্রাণ কাড়ায় সম্মতি রয়েছে সাংবিধানিকভাবে।
সরকার যদি বোঝে যে দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রাণিদের প্রাণ কাড়তে হবে তাহলে তা করা হবে। তবে খাবারের জন্য প্রাণিদের প্রাণ কাড়াটা নির্বিচারে হবেনা। সংখ্যা মেপেই প্রাণিদের প্রাণ কাড়া হবে। যার পূর্ণ তালিকাও থাকবে সরকারিভাবে।