বাঁচাতে হবে ১৩০টি জলহস্তীকে, তড়িঘড়ি গর্ত খুঁড়ছে দেশের সরকার
১৩০টি জলহস্তীর প্রাণ সংশয় তৈরি হয়েছে। তাদের বাঁচাতে হবে। তাই আর কোনও পথ না পেয়ে দ্রুত মাটিতে গর্ত খোঁড়ার রাস্তায় হাঁটল দেশের সরকার।
জলহস্তীদের বাঁচাতে হবে। সেজন্য টিউবওয়েল খোঁড়ার পথে হাঁটল খোদ দেশের সরকার। প্রশ্ন হল জলহস্তীর জীবনরক্ষার সঙ্গে টিউবওয়েলের সম্পর্ক কি? সম্পর্ক রয়েছে। গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
অন্তত দেশের যা পরিস্থিতি তাতে এখন টিউবওয়েল ছাড়া জলহস্তীদের রক্ষা করাটাই চ্যালেঞ্জ। আফ্রিকার অন্যতম এক দেশ নামিবিয়া। সেখানকার একটা বড় অংশে জলস্তর নামছে। শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়।
এখানেই জাম্বেসি এলাকার মুনামবেজা জলাশয়টি বিখ্যাত। কারণ এই জলাশয় কেবল শতাধিক জলহস্তীর বাসস্থানই নয়, এই জলাশয়ের জলেই তৃষ্ণা মেটায় আশপাশের জঙ্গলের নানা প্রাণি।
সেই জলাশয় ক্রমে শুকিয়ে যেতে শুরু করে খরার কবলে পড়ে। নামিবিয়ার একটা বড় অংশ এখন খরা কবলিত। তার জেরে বহু জলাশয় শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
মুনামবেজা জলাশয়ের জলও প্রায় উধাও। পড়ে আছে জলাশয়ের তলদেশে কিছুটা কাদামাটি। সেই কাদামাটিতেই আটকে আছে ১৩০টি জলহস্তী।
তাদের কিছুতেই তুলে আনা যাচ্ছেনা। তারা জল ছাড়া বেশিদিন বাঁচবেও না। তাহলে উপায়? অগত্যা টিউবওয়েল তৈরির রাস্তায় হাঁটছে নামিবিয়ার পরিবেশ, অরণ্য ও পর্যটন মন্ত্রক।
এভাবে মাটি কেটে বোরওয়েল তৈরি করে মাটির অনেক গভীর থেকে জল তুলে এনে সেই জল জলাশয়ে ঢালার রাস্তায় হাঁটল সরকার। যাতে ওই জলাশয় ভরে যায়।
জলহস্তীরা সেই জলেই সাঁতরে শুধু উপরেই উঠে আসবেনা, বাঁচার নিশ্চিন্ত পরিবেশও পাবে। সেই সঙ্গে আশপাশের জঙ্গলের নানারকমের প্রাণির একমাত্র তৃষ্ণা মেটানোর জলেরও যোগান পর্যাপ্ত হবে।
প্রসঙ্গত এভাবে বোরওয়েল কেটে জল মাটির তলা থেকে তুলে এনে জলহস্তী রক্ষার ঘটনা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটছে। গত জুনে এই জাম্বেসি এলাকারই লুগালাতে এভাবেই জল শুকিয়ে কাদামাটিতে আটকে পড়েছিল ১৩৫টি জলহস্তী।
তাদেরও ওই মাটির গভীর থেকে জল তুলে রক্ষা করা হয়েছিল। এবার সেই একই পথে হেঁটে ১৩০টি আটকে পড়া জলহস্তীকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নামল নামিবিয়া সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা