নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনের জেরে ভোটের মুখে প্রবল চাপের মুখে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দিল্লিতে নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনের ফুটেজ প্রকাশের পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই আলোড়ন পড়ে যায়। ফুটেজে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে ঘুষ নিতে দেখা যায়। তবে এখনও এই ফুটেজ যাচাই করে দেখা হয়নি। ফলে ফুটেজের সত্যতা এখনও প্রমাণিত নয়।
এদিকে এই স্টিং অপারেশনের ছবি সামনে আসতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং এই ছবি প্রকাশের পর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। ছবিতে যে তৃণমূল নেতাদের দেখা গেছে তাদের ভোটে দাঁড়াতে না দেওয়ারও প্রস্তাবও সামনে এনেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন সিদ্ধার্থনাথ। বিজেপির মত স্টিং অপারেশনকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বামেরাও।
এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকা লুঠের অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এই ঘটনা সামনে আসার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে যুব কংগ্রেসের তরফে মৌলালি মোড়ে পথ অবরোধ করা হয়।
এদিকে গোটা স্টিং অপারেশনটিকে চক্রান্ত হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের গায়ে কালিমালেপনের উদ্দেশ্যেই এসব করা হচ্ছে বলে শিলিগুড়ির প্রচারসভা থেকে দাবি করেন তিনি। যদি এই স্টিং অপারেশন দুবছর আগেই করা হয়েছিল তাহলে তা এখন কেন প্রকাশ্যে আনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরেই এসব করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। পুরো বিষয়টিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়। এ নিয়ে দল আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।